পৃথিবীর সবচে ধনী দেশ ছিল বাংলাদেশ

303

প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেন, প্রাচীনকালে বাংলাদেশ ছিল পৃথিবীর সবচে’ ধনী দেশ। তিনি বিশ্ববিখ্যাত পর্যটক বার্নিয়ারের কথা উল্লেখ করে বলেন, বার্নিয়ার শাহজাহানের রাজত্বকালে ভারতীয় উপমহাদেশে এসেছিলেন। তিনি দু’বার বাংলাদেশে আসেন। তিনি এদেশের বিস্তারিত বিবরণ তৎকালীন ফরাসি রাজা চতুর্দশ লুই-এর প্রধানমন্ত্রী কোর্লবার্টকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন। একটি চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, প্রতি যুগে মিশরকেই বিশ্বের সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী ও ফলশালী দেশ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, কিন্তু মিশরের এই সম্মান বস্তুত বাংলারই প্রাপ্য।
গতকাল সকালে নগরীর জিইসি মোড়স্থ প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি প্রাঙ্গণে এই ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের ৩৪ তম ব্যাচের বরণ ও ২৭ তম ব্যাচের বিদায় উপলক্ষে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ড. সেন ইংরেজি ভাষা সম্পর্কে বলেন, বিশ্বের প্রথম সারির বৃহত্তম কর্পোরেশনগুলোর অধিকাংশের ভাষা ইংরেজি। তারা ইংরেজির মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করেন। সাহিত্যে ইংরেজি ভাষার বিশাল অবদান রয়েছে। শেক্সপিয়ার, শেলি, ওয়ার্ডসওয়ার্থ, কীটস, বায়রন ও ইয়েটস্-এর মতো কবি রয়েছেন, তেমনি রয়েছেন নিউটনের মতো অসাধারণ বৈজ্ঞানিক, যাঁকে বিজ্ঞানের জনক বলা হয়। সুতরাং ইংরেজদের ঔপনিবেশিক শোষণে আমরা অত্যন্ত দীন হলেও, মননের জগতে তাদের দ্বারা আমরা সমৃদ্ধি পেয়েছি। ইংরেজি ভাষার ছাত্র-ছাত্রীরা ইংরেজি ভাষায় যে-সম্পদ রয়েছে তার দ্বারা যখন নিজেদের জীবনকে আলোকিত করবে, তখন তারা যেন আমাদের দেশের দীন-দরিদ্র-বঞ্চিত মানুষগুলোকে না ভোলে। কারণ এই বঞ্চনায় ইংরেজদের একটা অবদান রয়েছে।
২৭ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাকেরা আহমেদ ও মো. শাহেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের প্রফেসর ড.মোহীত উল আলম। বক্তব্য রাখেন সহকারী প্রক্টর আবদুর রহিম, সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ জসিম উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম, সুমিত চৌধুরী ও প্রভাষক শান্তনু দাশ। শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। খবর বিজ্ঞপ্তির