পূজামন্ডপে স্থায়ী পুলিশ না দেয়ার সিদ্ধান্তে শংকা মহানগর পূজা পরিষদের

47

আসন্ন শারদোৎসবকে সামনে রেখে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, চট্টগ্রাম মহানগর চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিষদের সভাপতি এড. চন্দন তালুকদার। এসময় উপস্থিত ছিলেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্রীপ্রকাশ দাশ অসিত, সাবেক সভাপতি সাধন ধর, বিমল দে, মুক্তিযোদ্ধা অরবিন্দ পাল অরুন, সহ সভাপতি অধ্যাপক অর্পন কান্তি ব্যানার্জী, রানা বিশ্বাস, লায়ন দুলাল চন্দ্র দে, সুমন দেবনাথ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিথুন মল্লিক, দক্ষিণ জেলা পূজা পরিষদের সাধারন সম্পাদক পরিমল দেব, উত্তর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এড. নিখিল কুমার নাথ, সিনিয়র সদস্য বাবুল ঘোষ বাবুন, অরূপ রতন চক্রবর্ত্তী, বিপ্লব চৌধুরী, প্রদীপ শীল, সাংগঠনিক সম্পাদক সজল দত্ত, সহ-কোষাধ্যক্ষ বিপ্লব সেন, দপ্তর সম্পাদক দোলন দেব, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক সুকান্ত মহাজন টুটুল, সহ প্রচার সম্পাদক ষ্ট্যালিন দে, সহ পূজা বিষয়ক সম্পাদক সঞ্জয়িতা দত্ত পিংকী, সদস্য দীপ্ত সিংহ, সাজু চৌধুরী, কোতোয়ালী থানা পূজা পরিষদের সভাপতি লিটন শীল, সদস্য অয়ন ধর। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, প্রতিনিয়ত ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নানাভাবে নির্যাতনের খবর বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে যার জন্য সনাতন সম্প্রদায় শংকিত। তাছাড়াও আসন্ন শারদোৎসবে পূজামন্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় স্থায়ী পুলিশ-আনসার না দেয়ার সিদ্ধান্তে পূজা কমিটিগুলো উদ্বিগ্ন এবং সনাতন সম্প্রদায়ের জনগণ আরো শংকিত। নেতারা বলেন, প্রতিবছর শারদোৎসব চলাকালীন পূজা মন্ডপের পাহারায় স্থায়ীভাবে ৪-১০ জন পুলিশ-আনসার এবং ৫-১০ জন ভিডিপি নিয়োগ দেয়া হতো, কিন্তু এবার শুধু টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে নিরাপত্তা কতটুকু হবে তা সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে। এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য জোড় দাবি জানানো হয়। এবার জে.এম.সেন হল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে বোধন, অধিবাস, সপ্তমী পূজা, অষ্টমী পূজা, সন্ধি পূজা, নবমী পূজা, দশমী পূজা, বস্ত্রদান, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, জাগরণ পুঁথি পাঠ, প্রতিদিন সন্ধ্যারতি এবং ২৬ অক্টোবর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে বিসর্জন অনুষ্ঠান। তবে সবকিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে করা হবে। এবার বিসর্জন স্থান পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে অলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শোভাযাত্রা না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিজ্ঞপ্তি