পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন সংসদীয় কমিটির

55

পাসপোর্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সংসদীয় কমিটি। গতকাল মঙ্গলবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এই প্রশ্ন তোলা হয়।
কমিটির সভাপতি ফারুক খান জানান, প্রবাসী বাংলাদেশিদের পার্সপোর্ট ইস্যু করতে দেরি হওয়ার কারণ জানতে আমরা পাসপোর্ট অধিদপ্তরগুলোকে ডেকেছিলাম। তারা দেরির বিষয়গুলি ব্যাখ্যা করেছে। আমরা প্রবাসীদের ১৫ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট ইস্যু করতে বলেছি।
তিনি আরও বলেন, পাসপোর্ট ইস্যুতে পুলিশ ভেরিফিকেশনের বিষয়টিও এসেছিল। এ বিষয়ে আমি বলেছি জাতীয় পরিচয়পত্রে কোনও ব্যক্তির নাম ঠিকানাসহ সব ধরণের তথ্যই থাকে। তাহলে এখনও পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রয়োজনীতা কী? খবর বাংলা ট্রিবিউনের
সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বৈঠকে পাসপোর্ট ইস্যুতে বিলম্বের কারণ নিয়ে আলোচনা করা এবং ১৫ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট ইস্যু করতে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়াও যথাসময়ে পাসপোর্ট ইস্যু করতে সক্ষম না হলে তার যথাযথ কারণ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে জানিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থাও চালু করার সুপারিশ করা হয়েছে।
২০১২ সালে জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রফিকুল ইসলাম (বীর উত্তম) পাসপোর্ট ইস্যুতে পুলিশ ভেরিফিকেশন বাতিল চেয়ে একটি নোটিশ দেন। এর আগে ২০১১ সালে পাসপোর্ট অধিদপ্তরও পুলিশ ভেরিভিকেশন বাতিলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়। তবে, পুলিশের সংশ্লিষ্ট শাখা তাতে আপত্তি তোলে।
গত আগস্ট মাসে পাসপোর্ট প্রদানে বিভিন্ন ধরণের হয়রানি ও দুর্নীতি নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল একটি গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরেছে। সেখানেও তারা পুলিশ ভেরিফিকেশন বাতিলের সুপারিশ করেছে।
এ ব্যাপারে ফারুক খান জানান, পাসপোর্ট অধিদপ্তর তাদের জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী আগামী ডিসেম্বরে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। জানুয়ারি থেকেই ইপাসপোর্ট দেওয়া শুরু হবে। প্রথম পর্যায়ে প্রধান কার্যালয়সহ ঢাকার তিনটি আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে ইপাসপোর্ট প্রদান করা হবে। এরপর সারাদেশে ও পরে বিদেশ থেকেও ইপাসপোর্ট দেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, পাসপোর্ট প্রদানের জন্য আমরা একটি অ্যাপস চালুর পরামর্শ দিয়েছি। এখানে পাসপোর্টের সর্বশেষ স্ট্যাটাস থাকবে। কোন পাসপোর্ট প্রদানে কেন দেরি হচ্ছে, কতটা সময় লাগবে, তা সেখানে উল্লেখ থাকবে।