পুলিশ পলওয়েল পার্ক পাল্টে দিয়েছে রাঙামাটির অর্থনীতি

141

যদি চিন্তা চেতনা ও লক্ষ উদ্দেশ্য অবিচল থাকে তাহলে অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়। নিজের চিন্তাশক্তি, বাস্তব অভিজ্ঞতা, গঠনমূলক দিকনির্দেশনা ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন রাঙামাটি পুলিশ সুপার মো. আলমগীর কবীর ও জেলা পুলিশ সদস্যরা। আর পলওয়েল পার্কে যত অবদান পুলিশ সুপারের। তাই পলওয়েল পার্ক পাল্টে দিয়েছে রাঙামাটি পর্যটন শিল্পের চেহারা। ২০১২ সাল হতে সংস্কারের অভাবে যে পার্কে দর্শনার্থী ছিল প্রাণহীন। আজ সংস্কারের ফলে সে পার্কটি ফিরে পেয়েছে নতুন প্রাণ। রাঙামাটির পর্যটন শিল্পকে পাল্টিয়ে দিয়েছে পুলিশ পরওয়েল পার্ক।
ওই সময়ে পার্কটিতে তেমন কোন দর্শনার্থী ছিল না। পার্কটি সংস্কারের ফলে এখন দেশী বিদেশীদের পদচারণায় মুখর সারাক্ষণ। এই পার্কে একসময় ১০ টাকা দিয়ে দর্শনার্থী প্রবেশ করতে চাইতেন না। বর্তমানে পার্কটি আধুনিকায়ন হওয়াতে এখন দর্শনার্থী প্রবেশমূল্য ৩০ টাকা, তারপরও পর্যটক দর্শনার্থীর ভিড় থাকে। গত ২ বছর আগে যারা পলওয়েলপার্ক দেখেছেন তারা আজ সহজেই মেনে নিতে পারছে না। এতই উন্নত হয়েছে পার্কটি। এসব উন্নয়নের পেছনে বিশাল অবদান রেখেছেন রাঙামাটি পুলিশ সুপার মো. আলমগীর কবীর ও জেলা পুলিশ সদস্যদের পরিশ্রমের ফল।
জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্র থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৯ মার্চ পুলিশ সুপার হিসেবে রাঙামাটিতে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন পুলিশ সুপার মো. আলমগীর কবীর পিপিএম সেবা। পুলিশ সুপার দায়িত্বভার গ্রহণের কিছুদিন পর জেলা পুলিশের তত্ত¡াবধানে পরিচালিত জরাজীর্ণ পলওয়েল পার্কটিকে সংস্কারের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন। একেবারে অল্প সময়ের মধ্যে পলওয়েল পার্কটিকে নতুন রুপে গড়ে তুলেন।
পর্যটকদের বরণে পলওয়েল পার্কে যা থাকছে : পার্কের অনিন্দ্য সুন্দর সবুজ রাঙামাটির প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত পলওয়েল পার্কটি। পার্কটির প্রতিটি স্পটে শৃজনশীলতার ছোয়া রয়েছে। নির্মাণ শৈলীতে অনন্য পার্কটির প্রতিটি দৃশ্যস্পট ও বসার স্থান রয়েছে। পার্কটির প্রবেশ পথে আছে ভুতুরে পাহাড়ের গুহা, গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি শিল্প, বিভিন্ন প্রকার রাইড, প্যাডেল বোট, কলসি ঝর্ণা, পাহাড়ি কৃত্রিম ঝর্ণা, ক্রোকোডাইল ব্রিজ, হিলভিউ পয়েন্ট, লেকভিউ পয়েন্ট, লাভলক পয়েন্ট, ফিশিং পিয়ার, মজাদার ও মুখরোচক খাবারের সমারোহ সমৃদ্ব পলওয়েল ক্যাফেটেরিয়া, সুইমিং পুল ও পলওয়েল কটেজটিকে পূর্ণতা দিয়েছে। পুলিশ সুপার মো. আলমগীর কবীর পিপিএম-সেবা বলেন, আমি ভেবে দেখলাম রাঙামাটিতে পর্যটকদের বিনোদনের জন্য উল্লে যোগ্য কোন পিকনিক স্পট নেই। সেই লক্ষে পলওয়েলপার্কটি নির্মাণ করা আমার ক্ষুদ্র প্রয়াস। আমার কর্মব্যস্ততার ফাঁকে ফাঁকে নিজ হাতে নন্দিত পার্কের সকল ডিজাইন ও নির্মাণ কাজ এািগয়ে নিয়ে যাচ্ছি। তবে চোখেপড়ার মত সাজানো হলেও এখনো অনেক কাজ বাকি রয়েছে পার্কে। পর্যটকদের আকর্ষণে ও পার্কের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য আরো নতুন নতুন জিনিসপত্র সংযোজন করা হবে।