পুলিশই বন্ধ রেখেছে শাহিনবাগের ৫টি রাস্তা

17

নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে দিল্লির শাহিনবাগে বিক্ষোভরত নারীরা রাস্তা বন্ধ রেখে নাগরিকদের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করছেন বলে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত মধ্যস্থতাকারী।
মধ্যস্থতাকারী ওয়াজাহাত হাবিবুল্লাহ আদালতকে জানিয়েছেন, নারীরা নিজেদের সুরক্ষার জন্য যে জায়গাটি বেছে নিয়েছেন, তার আশপাশে আরও ৫টি বিকল্প রাস্তা আছে। আর সেগুলো পুলিশ আর স্থানীয়রা বন্ধ রেখেছেন। বিক্ষোভকারীরা যাতায়াতায়ের সমস্যা করছেন বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা সঠিক নয়। আদালতে দেওয়া হলফনামায় তিনি বলেন, আমি লক্ষ্য করেছি অনেক রাস্তা রয়েছে, যেগুলির সঙ্গে বিক্ষোভের কোনও সম্পর্ক নেই, অপ্রয়োজনীয়ভাবে সেখানে ব্যরিকেড দিয়ে রেখেছে পুলিশ।
তিনি জানিয়েছেন, পুলিশ দায়িত্ব পালন না করে বিক্ষোভকারীদের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। এলাকার সমান্তরাল এবং মূল রাস্তাটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা উচিত পুলিশের। ওয়াজাহাত হাবিবুল্লাহ আরও জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীরা স্কুল ভ্যান বা অ্যাম্বুল্যান্সও আটকাচ্ছেন না। শাহিনবাগের ঘটনায় ওয়াজাহাত হাবিবুল্লাহ ছাড়াও বর্ষীয়ান আইনজীবী সঞ্জয় হেগরে এবং সাধনা রামচন্দ্রণকে মধ্যস্থতাকারী নিযুক্ত করে সুপ্রিম কোর্ট। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে অন্যতম ইস্যু হয়ে উঠেছিল, বিক্ষোভকারীদের দ্বারা রাস্তা বন্ধ থাকা। বিজেপি এজন্য দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে দায়ি করেছিল। বাংলানিউজ