বেলা ১১টা ৩০ মিনিট। স্মার্ট কার্ড দেয়া হবে জেনে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করছিলেন জাহেদুল আলম নামে ২২ বছরের এক যুবক। কার্ডটি হাতে পেয়ে দেখল তার ছবির পরিবর্তে এক অপরিচিত মহিলার ছবি। গতকাল শনিবার দুপুরে হাটহাজারী উপজেলার ১নং ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের ফরহাদাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
জাহেদুল ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে গুন্নু মিয়া সারাং বাড়ির মো. জানে আলম এর ছেলে।
তিনি জানান, চার বছর আগে ২০১৫ সালে ভোটার হওয়া তথা সাধারণ জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার জন্য নিবন্ধন করি। ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে আসে। এতে আমার ছবির স্থলে এক মহিলার ছবি ছিল। পরে ওই বছরের ১৮ নভেম্বর সোনালী ব্যাংকে ২৫৩ টাকা জমা দিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসে সংশোধনের জন্য আবেদন করি।
আবেদনের প্রেক্ষিতে চলতি বছরের ফেব্রæয়ারী মাসে আমার ছবি সম্বলিত সংশোধনকৃত জাতীয় পরিচয়পত্রটি হাতে পাই। কিন্তু আজকে (শনিবার) পাওয়া স্মার্ট কার্ডে আগের ভুলটি বিরাজমান।
এদিকে স্মার্ট কার্ডের জন্য লাইনে অপেক্ষমান শারমিন আক্তার নামে এক গৃহবধূ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমার স্বামীর স্মার্ট কার্ডে তার পিতামাতা উভয়ের নামে ভুল লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এসব কাজের সাথে সংশ্লিষ্টদের অবহেলার কারণে এমন কর্মকাÐর জন্য অনেকে সরকারকে দায়ী করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম মুঠোফোনে দৈনিক পূর্বদেশকে জানান, প্রায় ৮৫ জন ভোটারের স্মার্ট কার্ডে ভুলে একজনের ছবির স্থলে অন্যজনের ছবি সংযোজন করা হয়েছিল। যা আমি নিজে গিয়ে ঢাকা থেকে সংশোধন করে নিয়ে এসেছি। তবে গুটি কয়েকজন ভোটারের এমন সমস্যা থাকতে পারে। তাই তাদের জন্য আমাদের পরামর্শ হল, তারা যাতে তাদের আগের সাধারণ জাতীয় পরিচয়পত্র জমা না দেয়। বিষয়টি আমাদেরকে অবহিত করলে আমরা বিষয়টি সুরাহা করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব।
