পিডিবি বলছে ‘মেনটেইন্যান্স শাটডাউন’

39

গ্রীষ্ম শুরু না হতেই মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের করলে পড়েছে নগরবাসী। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় চলছে বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার খেলা, সৃষ্টি হচ্ছে গণভোগান্তি। তবে পিডিবির কর্মকর্তারা বলছেন, ‘চট্টগ্রামে কোন লোডশেডিং নেই, মেনটেইন্যান্স শাটডাউনের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হচ্ছে।
ভুক্তভোগী গ্রাহকরা বলছেন, কখনো নিয়মিত লোডশেডিং আবার কখনো লাইন মেরামতের নামে লোডশেডিং হচ্ছে। এতে একদিকে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ব্যাঘাত ঘটছে। অন্যদিকে, গৃহস্থালী কাজ করতেও বিভিন্ন ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। ধারাবাহিক লোডশেডিংয়ে এলাকার ক্ষুদ্র দোকানদার ও ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়ছেন।
লোডশেডিংয়ের কারণে বড় কল-কারখানাগুলো জেনারেটর চালিয়ে উৎপাদন ঠিক রাখার চেষ্টা করলেও ক্ষুদ্র শিল্প কারখানাগুলোকে উৎপাদন বন্ধ রাখতে হচ্ছে। বিদ্যুতের এমন ভেল্কিবাজিতে বাসা বাড়িতে ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীও নষ্ট হচ্ছে। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কাজকর্মও। গ্রাহকদের অভিযোগ, দৈনিক অন্তত ১০ থেকে ১৫ বার পর্যন্ত বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করে।
বাকলিয়া এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, কয়েক মিনিট পর পর বিদ্যুৎ চলে যায়। এতে বাসার ফ্রিজ, টেলিভিশন পর্যন্ত নষ্ট হতে চলেছে। মোমিন রোড এলাকার ব্যবসায়ী আলী আকবর জানান, ‘কিছুক্ষণ পর পর লোডশেডিং হচ্ছে। বিদ্যুৎ যাওয়া আসার কারণে ফ্রিজে আইসক্রিম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফ্রিজে থাকা মালামাল নষ্ট হচ্ছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিডিবি দক্ষিণাঞ্চলের সহকারি প্রধান প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার ইমাম হোসেন পূর্বদেশকে জানান, ‘চট্টগ্রামের কোথাও লোডশেডিং হচ্ছে না। তবে সিস্টেম আপগ্রেডিং কাজ চলমান থাকায় কয়েকটি স্থানে কিছুক্ষণের জন্য মেনটেইন্যান্স শাটডাউন হচ্ছে।’