পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি আটক

58

রাঙামাটিতে অস্ত্র ও আদায় করা চাঁদার টাকাসহ ইউপিডিএফ (ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট) এর সদস্যকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। আটক কুনেন্টু চাকমা সমর্থনপুষ্ট পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) জেলা শাখার সভাপতি।
গতকাল শনিবার বিকালের দিকে পরিচালিত এক বিশেষ অভিযানে রাঙামাটি সদরের কুতুকছড়ি উপরপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করে সেনা ও পুলিশের একটি দল। এসময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ৫ রাউÐ গুলি ও আদায় করা ৪ লাখ ৫ হাজার ৮০০ টাকা, ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপের চাঁদা আদায়ের রশিদ বই এবং ৪টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
আটক কুনেন্টু চাকমা জেলার জুরাছড়ি উপজেলার ধামেরপাড়ার বাসিন্দা ধন মোহন চাকমার ছেলে। সে নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা হত্যার অন্যতম আসামি। পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আটকে পর সন্ধ্যার দিকে তার কাছ থেকে উদ্ধার করা পিস্তল, টাকা, অন্য সরঞ্জামাদিসহ কুনেন্টু চাকমাকে রাঙামাটি রিজিয়ন সদর দপ্তরে সংবাদকর্মীদের সামনে হাজির করা হয়। এ সময় কুনেন্টু চাকমা উপস্থিত সংবাদকর্মীদের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্য দেয়।
পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আটক কুনেন্টু চাকমা, দলটির চিফ কালেক্টর রবি চন্দ্র চাকমা ওরফে অর্কিড চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের আহবায়ক ধর্মসিং চাকমা, ইউপিডিএফের কাউখালী উপজেলার সংগঠক স¤্রাট চাকমা, সশস্ত্র গ্রæপের সদস্য রনজিৎ চাকমাসহ আরও কয়েকজন আদায় করা ওইসব চাঁদার টাকা বণ্টন করছিল। খবর পেয়ে অভিযান চালালে যৌথবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে অন্যরা পালালেও কুনেন্টু চাকমাকে আটক করতে সক্ষম হন যৌথবাহিনীর সদস্যরা। সংবাদকর্মীদের কাছে দেয়া বক্তব্যে এসব তথ্য সরাসরি স্বীকার করেছে কুনেন্টু চাকমা। পরে তাকে রাঙামাটি কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
রাঙামাটি কোতোয়ালি থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আনোয়ার বলেন, আটক কুনেন্টু চাকমা নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা হত্যার অন্যতম আসামি। এটি পার্বত্য চট্টগ্রামে আঞ্চলিক রাজনীতির আড়ালে সশস্ত্র গ্রুপগুলোর চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে একটি সফল অভিযান। পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে যৌথবাহিনী।