পার্লামেন্টে মারামারিতে হংকংয়ের এমপিরা

27

হংকংয়ের কোনো বাসিন্দার নামে চীনের মূল ভূখন্ড, ম্যাকাউ কিংবা তাইওয়ানে মামলা হলে, সন্দেহভাজন ওই অপরাধীকে প্রয়োজনে সেসব স্থানে পাঠানোর বিধান রেখে একটি আইনের সংশোধনী প্রস্তাব নিয়ে মারামারিতে জড়িয়েছেন হংকংয়ের এমপিরা। শনিবার পার্লামেন্ট কক্ষে হওয়া এ মারামারিতে বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতা আহত হয়েছেন। আহত একজনকে হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। যে আইনের সংশোধনী নিয়ে এ মারামারি, তা কার্যকর হলে হংকংয়ের স্বাধীনতা বিপন্ন হতে পারে বলে শঙ্কা অনেকের। আইনের পরিবর্তনের মাধ্যমে হংকংয়ের নাগরিকদের চীনের কাছে সহজেই তুলে দেওয়া যাবে বলেও মনে করা হচ্ছে। হংকংয়ের চীনপন্থি কর্তৃপক্ষ বলছে, বেইজিংর কাছে স্বাধীনতা বিকিয়ে দিতে নয়, ছুটিতে তাইওয়ান গিয়ে গর্ভবতী বান্ধবীকে খুন করে বাড়ি ফিরে আসা এক বাসিন্দাকে তাইপের কাছে হস্তান্তরের লক্ষ্যেই তারা এ সংশোধনী আনতে চাইছেন। শনিবার পার্লামেন্টে সাংবাদিকদের সামনে হওয়া এ মারামারির ঘটনাকে ‘হংকংয়ের জন্য বিষাদের দিন’ হিসেবে অভিহিত করেছেন বেইজিংয়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এক আইনপ্রণেতা।
পার্লামেন্টে মাইক্রেফোনের দখল নিতে গিয়ে দুই পক্ষ হাতাহাতি ও মারামারিতে জড়ান, জানিয়েছে রয়টার্স। মারামারির এক পর্যায়ে গণতন্ত্রপন্থি আইনপ্রণেতা গ্যারি ফেন মাটিতে পড়ে যান, পরে তাকে স্ট্রেচারে করে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। চীনপন্থি এক সাংসদকেও পরে স্লিংয়ে হাত ঝুলিয়ে রাখতে দেখা গেছে। আইনটির সংশোধনী প্রস্তাবের বিপক্ষে হংকংয়ে গত মাস থেকেই একের পর এক বিক্ষোভ হচ্ছে। কট্টরপন্থি ব্যবসায়ীরাও এই সংশোধনীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

প্রস্তাবিত এ সংশোধনী ‘একেবারেই অপ্রয়োজনীয়’, যার মাধ্যমে হংকংয়ের বাসিন্দারা স্বাধীনতা, সম্পদ এমনকি তাদের জীবনও ঝুঁকিতে পড়তে পারে, বলেছে হংকংয়ের ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স। হংকংয়ের শেষ ব্রিটিশ গভর্নর ক্রিস প্যাটেন গত মাসে সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত সম্প্রচারমাধ্যম আরটিএইচকেকে বলেছেন, প্রস্তাবিত এ সংশোধনী হংকংয়ের মূল্যবোধ, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার ওপর আঘাত।