পার্বত্যাঞ্চলে তিব্রশীতে হারিয়ে যেতে বসছে খেজুর রস

103

শীতের শুরুতে প্রতি বছরের মত পার্বত্য অঞ্চলে বিভিন্ন এলাকা থেকে গাছীরা খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করবে এটাই ছিলো স্বাভাবিক। কিন্তু কেজি প্রতি ২৫-৩০ টাকা দিলেও খেজুর রস মিলছেনা আগের মত। এ ব্যাপার স্থানীয়রা বলেন গ্রামে গ্রামে খেজুর গাছ কেটে ফেলায় বিভিন্ন স্থানে জ্বালানী কাঠ হিসেবে ব্যবহার হয়ে যাওয়াতে বিগত ৫-৬ বছর খেজুর গাছ আশংকা জনক হারে কমতে শুরু করেছে। যার ফলে এখন উপজেলায় তিব্র শীতের মৌসুমেও খেজুর রসের চাহিদা থাকলেও রসের সংকট দেখা দিয়েছে। বিত্তবানরা অনেক কষ্টে অতিরিক্ত মূল্যে দিয়ে খেজুর রসের মৌসুমী স্বাদ গ্রহণ করতে পারলেও পাহাড়ী এলাকার গরীব ও হত দরিদ্র শ্রেণির মানুষ সেই স্বাদ নিতে পারেন না আগের মত।
এদিকে সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকায় পরিদর্শন করে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকা গুলোতে দূর দূরান্তে ২-৪টি খেজুর গাছ থেকে গাছীরা রস সংগ্রহ করতে দেখা গেলেও রামগড় লেকের দু’পাশের খেজুর গাছগুলি গাছীর অভাবে খোল না হওয়াতে রামগড় সদর ও পৌরসভার সোনাইপুল-খাগড়াবিল সড়কের দু’পাশের ৪৫-৫০টি খেজুর গাছ প্রতিবছর এলাকাটির আশপাশের মানুষের রসের চাহিদা মিটিয়ে পাশ্ববর্তী এলাকাও সরবরাহ করা হলেও চলতি বছর গাছগুলির মালিকানা সহ বিভিন্ন সমস্য থাকায় গাছীরা রস সংগ্রহ করতে না পারায় উপজেলার রামগড়, পাতাছড়া, হাফছড়ি এ তিন ইউনিয়ন ও পৌর এলাকাগুলোতে এখন উচ্চ মূল্যেও খেজুর রস খুজে পাওয়া যায় না যার ফলে তিব্র শীতেও ঘরে ঘরে মিলছেনা শীতের ভাঁপা পিঠা ও খেজুর রসে তৈরী নানা ধরনের পায়েস। রামগড় পৌর এলাকার গাছী মো. মোস্তফা জানান, প্রতি বছর শীতকালে নিয়মিত ৮০-৯০টি গাছে রসের জন্য প্রস্তুত করলেও এবছর গাছের মালিকানা সহ বিভিন্ন সমস্যা জনিত কারণে গাছগুলো রসের জন্য প্রস্তুত করতে দেয়া হচ্ছেনা যার কারণে আশপাশের এলাকার ১৫-২০টি গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে থাকির যা গ্রাহকদের চাহিদার তুলনায় অতি নগন্য। তিনি আরো বলেন, ১২-১৫বছর ধরে শীতের সময় খেজুর গাছের খেজুর রস সংগ্রহ করে গ্রাহকদের মাঝে বিক্রয় করে আসছি। এক সময় প্রচুর রস পাওয়া যেতো, এখন গাছও কম কিন্তু চাহিদা বেশি। অগ্রিম অর্ডাল দিয়েও গ্রাহকদের পরিমাণ মত রস দিতে পারি না ।