পাগলা হাতির চষা ও মিথ্যার ওজন

56

মাত্র কয়েকঘণ্টা শেষে দেখতে চাইবো
পাতাঝরাদের চিৎকার
শরতের নির্লিপ্ত সামিয়ানার নিচে
ঝিঁঝিঁ পোকার বেতাল কান্ডরা করবে হৈ চৈ!

তোমাদের মশকরা আর হলি উল্লাসে
কতো ইস্রাফিলরা আজ পঙ্গুত্বের শিকার!
পঙ্গপালের মতো ফেরআাউনের প্রস্রাবে
আছাড় খাওয়া উত্তরসুরিও বটে

ভোগের। নৃত্য করতে করতে
নিজের রক্তের সাথেও করেছো বেঈমানি!
তিমির পেটে বসবাস করে অনেক জাত করেছো নষ্ট!
নষ্টহাতে কেরি করেছো মিথ্যার মতো বিষের পেয়ালা।

কেউ না বুঝলেও হরি বাবুরা ঠিকই বুঝে
গতর খাইট্টা খাওয়া ছাড়া গত্যন্তর নেই
তরী বাইয়্যা জলের সীতা কাটন লাগবই
স্যাটেলাইট বারান্দায় আমি ও তারা নপংসুক!

ভূ-গোল খোলা আছে বোতামহীনভাবে
বয়ামের মুখ চিকন হতে চলেছে
ঘাতকরা জড়ো হবে কেড়ে নিতে
ছলনাকারীরা ভেঙে দেবে প্রতিশোধের বিধ্বস্ত দেয়াল!

আবার ঘুমের মতো সত্যেরা কিলবিল করে
কেড়ে নিবে অনাদায়ী প্রবৃদ্ধির জিডিপি
আমার ইচ্ছেরা মাত্রই ঘণ্টা বাজাবে নিশ্চিন্তে
পলায়ন ঘোড়ারা দৃশ্যাড়ালে
পাগলা হাতির চষা খেয়ে বুঝে নিবে মিথ্যার ওজন!

দূরত্ব-২
আরফান হাবিব

দূরে যেতে ইচ্ছে করে
খুব দূরে
অনেকক্ষণ তোমার হাতটি ধরে।

এক সময় বলবে একটু
অবসর দাও
তালু ঘেমে আছে।

সাঁতার না জানা ছেলেটিও
একদিন অনেক দূরে যায়।

যতটুকু গেলে ট্রেনের ভাড়া
অনেক বেশি।

তারপর আর ফেরা হয় না
খুচরো টাকার অভাবে।
আমিও তোমার হাতটা
অনেকক্ষণ ধরে রাখতে চাই
যতটুকু গেলে ট্রেনের ভাড়া অনেক বেশি।

হোমায়রা
কাজী শাহরিয়ার

শরতের কাশের ছায়া, রোদেলা দিনের আদুরে পায়রা,
গোধুলীর মায়াবী আলোয়, লাগে যেন মায়া হোমায়রা।

কিছু জমা প্রেম খুনসুটি, তোমার আমার সুখের সংসার,
কিছু মান অভিমানে বয়ে যাওয়া দিন, আবেশি অভিসার।

উপচানো খোশ রোজ, উছল গানের প্রতিটি শেষ কথা,
এখানে ওখানে আমি তুমি, আর কেউ নেই সব নীরবতা।

আগুন গুলায়েন
বেলাল মেহেরাজ

রুদ্র মঙ্গল দিনটা জমকালো
আশপাশে রোদেলা আবেশ
মনে স্থির, স্বস্থির অস্থিরতা
রুদ্র প্রভাব মিশে গেছে অনিমেষ।
বাহিরের দৃষ্টিতে চোখে অন্ধকার,
হাসিটা যেনো ঘামছে মিশে কার।

শরীর জুড়ে ভাপা আবাস মান
নিদ্রিত চোখ আগুন গুলায়েন,
হালকা হাওয়া মেখেছে হালখাতা
মোনে হলো মিশে যাই জলাধারে।