পাকিস্তানের ‘সহনশীলতার’ প্রশংসা চীনের

35

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় ইসলামাবাদের আচরণকে ‘সহনশীল’ আখ্যা দিয়েছে চীন। বেইজিং মনে করছে, ইসলামাবাদ দিল্লির সঙ্গে সংলাপের মানসিকতায় আছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের এই পররাষ্ট্রনৈতিক অবস্থানের প্রশংসা করেছে চীন। কাশ্মিরে ১৪ ফেব্রূয়ারি জইশ ই মোহাম্মদের আত্মস্বীকৃত আত্মঘাতী হামলায় পাকিস্তানকে দায়ী করে ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোর সাড়ে ৩টা নাগাদ ১২টি মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান নিয়ে পাকিস্তানের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ে ভারত। তাদের দাবি, ওইদিন পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে লেজার নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থার সাহায্যে ১০০০ কেজি বোমাবর্ষণ করা হয়েছে। পরদিন ২৭ ফেব্রুয়ারি বিদেশ সচিব বিজয় গোখলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, ‘‘বালাকোটে জইশের সবথেকে বড় জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে ভারত। জইশ-এ-মোহাম্মদের বহু জঙ্গি, সিনিয়র কমান্ডার, প্রশিক্ষক নিহত হয়েছে।’’ তবে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বিভাগের বিবৃতিতে ভারতের দাবি উড়িয়ে দিয়ে বলা হয়, ‘আরও একবার ভারত সরকার স্বার্থপরতা ও কল্পনাপ্রসূত দাবি করেছে।’ ২৭ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় বিমান ভূপাতিত করে এর পাইলটকে আটক করলেও এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সদিচ্ছায় তাকে মুক্তি দেয় পাকিস্তান। প্রধানমন্ত্রী ইমরানের পক্ষে দাবি করা হয়, সংলাপের স্বার্থে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বারবার চেষ্টা করেও টেলিফোনে কথা বলতে সমর্থ হননি তিনি।
বুধবার পাকিস্তান সফরে গিয়ে চীনের উপপররাষ্ট্রমন্তী কং শিয়ানু বলেন, পাকিস্তান ও চীন বন্ধুদেশ। তারা সবসময়েই পরষ্পরকে সহায়তা করেছে। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা খুব গভীরভাব পর্যবেক্ষণ করেছে চীন। পাকিস্তানের সহনশীল আচরণকে আমরা প্রশংসা করি।
তিনি বলেন, ‘ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশকেই সহিষ্ণু আচরণের আহব্বান জানাচ্ছে চীন। যতদ্রুত সম্ভব আলোচনায় বসুন। আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে একসঙ্গে কাজ করুন। চীন এই বিষয়ে কার্যকরী ভুমিকা রাখতেও প্রস্তুত বলে জানান তিনি।