পাকিস্তানের মুক্তি দেওয়া বন্দির নেতৃত্বে শান্তি আলোচনায় তালেবান

41

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় আফগান তালেবানের নেতৃত্ব আনা হয়েছে তাদের প্রভাবশালী এক কমান্ডারকে। দীর্ঘ সময় কারাগারে রাখার পর গত বছরের অক্টোবর মাসে তাকে মুক্তি দিয়েছে পাকিস্তান। শুক্রবার সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের কাতারকেন্দ্রিক রাজনৈতিক কার্যালয়ের প্রধান ঘোষণা করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট নেতাকে। বার্তা সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেস লিখেছে, আফগান তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি আলোচনার অংশ হিসেবেই মুক্তি দেওয়া হয়েছিল আব্দুল ঘানি বারাদারকে। কারণ তালেবানের অন্যতম সহ-প্রতিষ্ঠাতা হওয়ায় তার প্রতি সংগঠনটির সব কমান্ডারেরই সমীহ আছে।
২০১০ সালে আব্দুল ঘানি বারাদারকে আটক করে পাকিস্তান। তাকে মুক্তি দেওয়া হয় ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংগঠনটির আলোচনা প্রক্রিয়ায় বারাদারের উপস্থিতি প্রসঙ্গে আফগান তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতা আলোচনা শক্তিশালী করতে এবং যথাযথভাবে চালিয়ে নিতেই তাকে আনা হয়েছে। সামরিক ও বেসামরিক তৎপরতার দিক থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ঘটেছে। এখন চেষ্টা করা হচ্ছে, জিহাদি প্রক্রিয়া ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়া যাতে প্রত্যাশা অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়।’
শান্তি আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে রয়েছেন জালমাই খালিলজাদ। গত সোমবার থেকে থেকে তিনি কাতারে অবস্থান করছেন। সেখানে তালেবানের একটি রাজনৈতিক কার্যালয় রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত তালেবানের সঙ্গে কোনও আলোচনার কথা স্বীকার না করলেও জালমাই খালিলজাদ বলেছেন, তিনি সংঘাতে জড়িত সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন। চলমান শান্তি আলোচনায় বিশেষ ভূমিকা রেখেছে পাকিস্তান। সংশ্লিষ্টরা বিশ্বাস করেন, তালেবান ও তাদের শীর্স্থানীয় নেতাদের ঘাঁটি পাকিস্তান।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র মোহাম্মদ ফয়সাল মন্তব্য করেছেন, পাকিস্তান কাতারের অনুষ্ঠিত আলোচনা অনুষ্ঠিত করার বিষয়ে ভূমিকা রেখেছে, এমন কি আলোচনায় অংশও নিয়েছে। আলোচনায় কী কী নির্ধারিত হয়েছে তার বিস্তারিত কোনও পক্ষই প্রকাশ করেনি।
তবে এটুকু জানা গেছে, তালেবান আফগানিস্তান থেকে ন্যাটো বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং সব বন্দির মুক্তি চায়। এর বদলে আফগান তালেবান অঙ্গীকার করবে, যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কোনও দেশে হামলা চালানোর কাজে আফগানিস্তানকে ব্যবহৃত হতে দেবে না তারা।