পাকিস্তানের আকাশ বন্ধ ক্ষতির মুখে এয়ার ইন্ডিয়া

39

বালাকোটে ভারতীয় বিমান বাহিনীর হামলার পর আকাশপথ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে পাকিস্তান। এই নিষেধাজ্ঞার জেরেই ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে এয়ার ইন্ডিয়া। ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এ নিষেধাজ্ঞার কারণে একবার যাত্রাবিরতি দিতে হয় এমন দীর্ঘ ফ্লাইটগুলোর ক্ষেত্রে এরই মধ্যে প্রায় ৬০ কোটি রুপিগচ্চা দিতে হয়েছে। জানিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সমস্যাটা তৈরি হয়েছে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকাগামী ফ্লাইটগুলোর ক্ষেত্রে। পাকিস্তানের আকাশ ব্যবহার করতে না পারার কারণে এই দেশগুলোতে যেতে গেলে অনেকটা পথ ঘুরে যেতে হচ্ছে। তাতে সময়ও বেশি লাগছে এবং খরচও বাড়ছে।
ভারত থেকে যেসব ফ্লাইট ওয়াশিংটন, নিউইয়র্ক এবং শিকাগো যাচ্ছে সেগুলোকে গুজরাট হয়ে আরব সাগর পেরিয়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে হচ্ছে। সাধারণত দূরগামী বিমানগুলোর ক্ষেত্রে জ্বালানী ভরার জন্য মাঝে অন্তত একবার অবতরণের প্রয়োজন পড়ে। পাকিস্তানের আকাশ ব্যবহার করতে না পারার কারণে জ্বালানী ভরার জন্য এয়ার ইন্ডিয়ার আমেরিকা ও ইউরোপগামী বিমানগুলোকে শারজা অথবা ভিয়েনায় অবতরণ করাতে হচ্ছে। যা খুবই ব্যয়সাপেক্ষ। এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই ধরনের প্রত্যেকটি অবতরণের জন্য গড়ে ৫০ লক্ষ টাকা করে খরচ হচ্ছে তাদের। পাশাপাশি বিমান সংস্থাটি এটাও জানিয়েছে, গত ১৬ মার্চ পর্যন্ত কমপক্ষে ৬০ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে।
প্রতিদিন বাড়তি খরচের কারণে জ্বালানী নেয়ার জন্য ভিয়েনাতে বিমান অবতরণের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া। আপাতত দুটি বিমান সেখানে অবতরণ করবে বলে সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। আমেরিকা ও ইউরোপগামী বাকি বিমানগুলির জ্বালানী ভরা হবে মুম্বাই থেকেই।
আমেরিকা ও ইউরোপগামী বিমানগুলির পথ ঘুরিয়ে দেওয়ার কারণে যাত্রীরাও সমস্যার মুখে পড়ছেন। আমেরিকা যাওয়ার জন্য সাধারণত বোয়িং সেভেন সেভেন সেভেন – থ্রি জিরো জিরো ইআর এবং বোয়িং সেভেন সেভেন সেভেন-টু জিরো জিরো এলআর বিমান চালায় এয়ার ইন্ডিয়া। জ্বালানী ভরার জন্য মাঝে অবতরণ এবং অনেকটা পথ ঘুরে যাওয়ার জন্য আমেরিকা পৌঁছতে নির্ধারিত সময়ের থেকে ৪ ঘণ্টা বেশি সময় লাগছে।
পাকিস্তানের আকাশ ব্যবহার করতে না পারার জন্য ইউরোপগামী এয়ার ইন্ডিয়ার সেভেন এইট সেভেন- এইট জিরো জিরো ড্রিমলাইনার পরিষেবাও ক্ষতির মুখে পড়ছে। বার্মিংহাম ও মাদ্রিদে যাওয়ার বহু ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া। যে বিমানগুলোগুলো যাচ্ছে সেগুলো নির্ধারিত সময়ের দু’ঘণ্টা পরে গন্তব্যস্থলে পৌঁছচ্ছে।