পাকিস্তানকে উড়িয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের যুবারা

32

যুব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ১৭২ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। তাই জয়ের জন্য ভারত পায় ছোট লক্ষ্য। ম্যাচে জয় পেতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি তাদের। পচেফস্ট্রুমে ভারতীয় যুবারা জিতেছে সহজে ১০ উইকেটে। ভারতের দুই ওপেনার যশস্বী জসওয়াল ও দিব্যাংশ সাক্সেনার অসাধারণ ব্যাটিং দৃঢ়তায় এই সহজ জয় পায় ভারতের যুবারা। জসওয়াল ১১৩ বলে ১০৫ রানের একটি ঝলমলে ইনিংস খেলেন। আর সাক্সেনা ৯৯ বলে ৫৯ রান করেন। এর আগে ভারতের বোলারদের সামনে কার্যত মাথা তুলে দাঁড়াতে পারলেন না পাক ব্যাটসম্যানরা। মাত্র তিনজন দু-অঙ্কের রানে পৌঁছেছেন। বাকিদের রান সংখ্যা ৪, ০, ৯, ৩, ২, ২, ১, ০। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ স্কোর চার নম্বরে নামা রোহেল নাজিরের। তিনি একাই ৬২ রান করেন। পাক ওপেনার হায়দার আলী এদিন হাফসেঞ্চুরি করেছেন (৫৬)। তবে বাকিদের রান লজ্জা পাওয়ার মতো।
ভারতের প্রত্যেক বোলারই উইকেট পেয়েছেন। সবচেয়ে সফলতম পেসার সুশান্ত মিশ্র। ৮ ওভারে মাত্র ২৮ রান খরচ করে তিন উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। কার্তিক ত্যাগী ও রবি বিষ্ণোইয়ের শিকার দুটি করে। অথর্ব আঙ্কোলেকর ও যশস্বী জসওয়াল একজন করে পাক ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়েছেন। দ্বিতীয় ওভারেই সুশান্ত মিশ্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মোহাম্মদ হুরাইরাকে। এর পর ফাহাদ মুনিরকে ফেরান রবি বিষ্ণোই। ৩৪ রানে দুই উইকেট খুইয়ে তৃতীয় উইকেটে ওপেনার হায়দার আলীর সঙ্গে ভালো পার্টনারশিপ গড়ে তুলেছিলেন রোহিল নাজির। স্কোরবোর্ডে ৬২ রান যোগ করে ফেলেছিলেন দুজনে। ধীরে ধীরে ম্যাচের রাশ আলগা হচ্ছিল ভারতের হাত থেকে।
সেই সময়েই ব্রেকথ্র দেন যশস্বী জসওয়াল। তিনি ওপেনার হায়দার আলীকে ফিরিয়ে দেন। এর পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে পাক ব্যাটিং। মাঝে মোহাম্মদ হ্যারিস একপ্রান্তে টিকে থেকে ২১ না করলে স্কোরবোর্ডে পাকিস্তান দেড়শো পেরোতো কিনা, সন্দেহ। পাকিস্তান শেষ ৬ উইকেট হারায় ২৬ রানে।