পাঁচ লিটারের বোতলে ‘লোকাল’ সস

39

পানি ও তেলের পাঁচ লিটারের পুরোনো প্লাস্টিক বোতল ভরা ‘লোকাল’ সস। কি কি উপকরণে তৈরি, কখন তৈরি, কখন মেয়াদ শেষ হবে কিছু লেখা নেই। একশ্রেণির হোটেল রেস্তোরাঁয় এ ধরনের সস পরিবেশন করা হয় সিঙ্গাড়া, সমুচা, ডিম পরোটা, চিকেন রোলসহ বিভিন্ন ধরনের খাবারের সঙ্গে। বিষয়টি নজরে আসে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের বাজার তদারকি অভিযানে। ৪০ লিটার লোকাল সস ধ্বংস করা হয় এ অভিযানে।
অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (মেট্রো) বিকাশ চন্দ্র দাস বলেন, সসের নামে ভোক্তাদের কি খাওয়ানো হচ্ছে তা মজুদ করা বোতলগুলো দেখলেই বোঝা যায়। এগুলোর মান তো দূরের কথা কবে তৈরি হয়েছে, কবে মেয়াদ শেষ হবে কিছুই লেখা নেই। অথচ বিএসটিআই’র মান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া বাধ্যতামূলক এমন পণ্যের তালিকায় রয়েছে সস। এ ধরনের সস খাওয়ার আগে ভোক্তাদের চিন্তাভাবনা করা উচিত। অভিযানের মাধ্যমে আমরা কেবল হোটেল মালিকদের নিরুৎসাহিত ও ভোক্তাদের সচেতনতা তৈরি করতে পারি। তিনি জানান, চকবাজারের কেয়ারি ইলিশিয়ামের খাবারের দোকানগুলো তদারকির সময় পাতিসেরি রেস্টুরেন্টকে অননুমোদিত সস ও দই ব্যবহার করে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন করায় ১০ হাজার টাকা, আড্ডা রেস্টুরেন্টকে একই অপরাধে ৮ হাজার টাকা এবং মূল্য তালিকা না রাখায় স্টুডেন্ট ফুড কর্ণারকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়। খবর বাংলানিউজের
এপিবিএন-৯ এর সদস্যদের সহযোগিতায় পরিচালিত অভিযানে আরও অংশ নেন অধিদফতরের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান। মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, অভিযানকালে বন্দর থানার রবিউল স্টোরকে পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ৫ হাজার টাকা, সুমাইয়া স্টোরকে মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ দুধ বিক্রির উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করায় ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ইপিজেড এলাকায় মেয়াদোত্তীর্ণ দুধ সংরক্ষণের জন্য বিপ্লব স্টোরকে ১০ হাজার টাকা এবং উৎপাদন, মেয়াদের তারিখবিহীন অননুমোদিত আইসক্রিম সংরক্ষণের জন্য মামা ভাগিনা স্টোরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। চকবাজার থানায় অননুমোদিত কসমেটিকস বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করায় সিটি কর্ণারকে ৮ হাজার টাকা এবং সাজঘরকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নিবন্ধনবিহীন ওষুধ বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করায় পাঁচলাইশের মক্কা ফার্মেসিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জনস্বার্থে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।