পাঁচ লাখ গাছ রোপণ করবে চসিক ও তিলোত্তমা চট্টগ্রাম

35

পাঁচ লাখ গাছ রোপণ করার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও তিলোত্তমা চট্টগ্রাম। গতকাল শুক্রবার বিকালে কাট্টলী সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।
এসময় খোরশেদ আলম সুজন বলেন, প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় গাছপালার ভূমিকা অপরিসীম। গাছপালা ও বনভূমি যেমনিভাবে আমাদের জন্য অক্সিজেন সরবরাহ করে ঠিক তেমনিভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবল থেকেও পরিবেশকে রক্ষা করে। তিনি আরো বলেন, দেশের বনজ সম্পদ বৃদ্ধি ও পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার লক্ষ্যে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীকে বিশেষ অর্থবহ করে তুলতে সকলকে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে উদ্যোগ নিতে উৎসাহিত করাই এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্দেশ্য।
মুজিব শতবর্ষকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এক কোটি গাছ লাগানোর কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় তিলোত্তমা চট্টগ্রাম ও পরিবেশ রক্ষায় চসিকের পাঁচ লাখ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সামাজিক সংগঠন ‘তিলোত্তমা চট্টগ্রামকে’ ইতোমধ্যে চসিকের পক্ষ থেকে ১০ হাজার বিভিন্ন ফলজ, বনজ ও ঔষধী চারাগাছ রোপণের জন্য বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।
তিনি তিলোত্তমার সাথে সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে বলেন, নগরীর যেখানে খোলা, পরিত্যক্ত বা গাছ লাগানোর উপযোগী জায়গা রয়েছে সেখানেই আপনারা গাছ লাগান। এতে যে কোন প্রকার সহযোগিতার জন্য আমি প্রস্তুত। তিনি আরো বলেন, পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মতে, এদেশের ভারি জনসংখ্যার তুলনায় বনভূমি খুবই কম। তাই দিন দিন কমে যাচ্ছে বনভূমির আয়তন। নগরায়ন ও শহরায়নের ক্রমবর্ধমান চাহিদার ফলেও ধ্বংস হচ্ছে বনভূমি। বিলুপ্ত হচ্ছে জীবজন্ত ও বন্যপ্রাণী। এতে হুমকির মুখে পড়ছে দেশ ও দেশের মানুষ। তাই এটি প্রধানমন্ত্রীর একটি কার্যকর উদ্যোগ।
এসময় চসিকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ.কে.এম রেজাউল করিম, স্কুল ও কলেজের দাতা সদস্য সুলতানুল আবেদীন চৌধুরী, নওশাদ চৌধুরী বাবলা, আলী ইস্কান্দর, তিলোত্তমার স্বত্বাধিকারি সাহেলা আবেদীন, উপদেষ্টা আবু সাঈদ সেলিম, মো. হারুন বোরহান, শুভা নাজ জিনিয়া, মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, কৃষি অধিদপ্তরের সুবাস দত্ত, লায়ন হুমায়ুন কবির, কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবুল কাশেম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।