পাঁচ বাসকে ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা

42

ঈদের এক সপ্তাহ পরও ঈদ বকশিশের নামে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রায় রুটে। বাড়তি ভাড়া আদায়ের এ অভিযোগে গতকাল মঙ্গলবার অভিযান পরিচালনা করেছেন বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মনজরুল হক। নগরীর নতুন ব্রিজ ও মইজ্জারটেক এলাকায় পরিচালিত অভিযানে মোট ৫টি বাসকে মোট ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ফিরিয়ে দেওয়া হয় যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা অতিরিক্ত ভাড়া।
জানা যায়, পটিয়া-সাতকানিয়া-লোহাগাড়া রুটের বাসগুলো আমিরাবাদ থেকে নতুন ব্রিজের ভাড়া নিচ্ছে ১৫০ টাকা করে যেখানে বর্ণিত দূরত্বের নির্ধারিত ভাড়া ১০০ থেকে ১২০ টাকা। অপর একটি বাস পটিয়া থেকে নতুন ব্রিজের ভাড়া আদায় করছে ৫০ টাকা করে, অথচ পটিয়া থেকে নতুন ব্রিজের নিয়মিত ভাড়া ২০ টাকা। একইভাবে বাঁশখালী রুটের বাসগুলো বাঁশখালী সদর থেকে নতুন ব্রিজের ভাড়া ৬৫ টাকার স্থলে ১২০ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে।
বিআরটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মনজুরুল হক জানান, বাড়তি ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানির অপরাধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে পটিয়া-সাতকানিয়া-লোহাগাড়া ও বাঁশখালী রুটের ৫টি বাসকে মোট ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অপর দুটি বাস ও ম্যাক্সিমার যাত্রীদের কাছ থেকে নেয়া বাড়তি ভাড়া তাৎক্ষণিক যাত্রীদের ফিরিয়ে দেয়া হয়।
এদিকে গত শনিবার (৮ জুন) শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসে বাড়তি ভাড়া আদায়ের প্রতিবাদ করেন যাত্রী শাহাদাত হোসেন। এ কারণে তাকে নতুন ব্রিজ এলাকায় বাস থেকে নামিয়ে মারধর করেন ওই বাসের সুপারভাইজার। শাহাদাতকে মারধরের ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যাত্রী মারধরের এ অভিযোগ আমলে নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মনজরুল হক নতুন ব্রিজ এলাকায় শ্যামলী পরিবহনের টিকিট কাউন্টারে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় শ্যামলী পরিবহনের ওই বাস মালিক হুমায়ূন কবিরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং অভিযুক্ত সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে মালিককে ৭ দিনের সময় দেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনজরুল হক বলেন, যাত্রী হয়রানির অপরাধে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের শ্যামলী পরিবহনের ঢাকামেট্রো ব ১১-১৪৮১ নম্বরের বাসটির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বাসের মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। যাত্রীকে মারধরের অভিযোগে অভিযুক্ত শ্যামলী পরিবহনের সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মালিকপক্ষকে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে একই অভিযোগ পাওয়া গেলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।