পশ্চিমবঙ্গ থেকে কারা ঠাঁই পাচ্ছেন মোদি’র মন্ত্রিসভায়?

30

ভারতের এবারের লোকসভা নির্বাচনে প্রথমবারের মতো পশ্চিমবঙ্গে উত্থান ঘটেছে বিজেপি-র। ২০১৪ সালের নির্বাচনে এ রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে মাত্র দুইটিতে জয় পেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু এবার সেখানে ১৮টি পেয়েছে বিজেপি। ফলে নরেন্দ্র মোদির নতুন মন্ত্রিসভায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে কারা ঠাঁই পাচ্ছেন এ নিয়ে ইতোমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়ে গেছে বিজেপি-র অন্দরমহলে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতোই নরেন্দ্র মোদি-ও কাকে মন্ত্রী করবেন তা নিয়ে আগে থেকে আঁচ করা বেশ কঠিনই বটে। তবে মন্ত্রিসভার গঠন নিয়ে দলের বিভিন্ন নেতাকে ডেকে তারা যে আলোচনা করেন, তা থেকে কিছু খবর বাইরে চলে আসে।
শুক্রবার বিজেপি-র অন্দরের খবর হচ্ছে, এবার পশ্চিমবঙ্গ থেকে মোদির মন্ত্রিসভায় প্রতিনিধিত্ব বাড়বে। গত লোকসভা ভোটে রাজ্যে দুটি আসনে জিতেছিল বিজেপি। মন্ত্রী হয়েছিলেন দুইজন। বাবুল সুপ্রিয় এবং সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। দুইজনই এবার জিতেছেন। বাবুল জয়ের ব্যবধান বাড়িয়েছেন আগের বারের চেয়ে কয়েক গুণ। আর সুরিন্দর সিং বর্ধমানে তৃণমূলের দুর্গে ঢুকে দুঃসাধ্য কাজ করে দেখিয়েছেন। সেই সঙ্গে এবার এক ধাক্কায় বাংলায় ১৬টি আসন বাড়িয়েছে বিজেপি। এতো বড় সাফল্য গোটা দেশে আর কোথাও পাননি মোদী-অমিত শাহ। অথচ এই পশ্চিমবঙ্গ এক সময় প্রায় অধরা ছিল বিজেপি-র কাছে।
বিজেপি-র শীর্ষ সূত্রে জানা গেছে, সর্বোচ্চ ৮০ জনকে মন্ত্রী করা হতে পারে। এবার বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ৩৪০টি আসন পেয়েছে। ফলে প্রতি চার জন এমপি পিছু একজনকে মন্ত্রী করা যেতে পারে। তবে এখনও পর্যন্ত যা ঠিক রয়েছে, এখনই এতো জনকে মন্ত্রী করা হবে না। পূর্ণ মন্ত্রী, স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রী মিলিয়ে ৭০ জনের নাম আসতে মন্ত্রিসভার তালিকায়। সেক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের তিন থেকে চার জন এমপিকে এবার মন্ত্রিসভায় নিতে পারেন মোদি।
একজন আদবাসী এমপিকে মন্ত্রী করা হতে পারে। সেদিক থেকে আলিপুরদুয়ারের জন বার্লার নাম সামনে আসছে। বাংলা থেকে এক জন নারীকেও মন্ত্রী করার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে রাজ্যের নারী সংগঠনের সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নাম আলোচনায় রয়েছে। এছাড়া জোরালোভাবে সামনে আসছে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও আরেক প্রভাবশালী নেতা মুকুল রায়ের নাম। তবে দিলীপ ঘোষ মন্ত্রিসভায় গেলে তিনি রাজ্য সংগঠনের সভাপতি থাকবেন কিনা সেই প্রশ্ন রয়েছে। অন্যদিকে মুকুল রায়কে এখনই মন্ত্রী করা ঠিক হবে কিনা তা নিয়ে দলের মধ্যে গুঞ্জন রয়েছে। শেষ পর্যন্ত যদি মুকুল রায়কে মন্ত্রী করা হয়, তাহলে তাকে কেন্দ্রে পূর্ণ মন্ত্রী করা হবে। কারণ, এর আগে তিনি রেলমন্ত্রী ছিলেন। ফলে এখন পূর্ণ মন্ত্রী না করলে সেটা তার মর্যাদাহানির কারণ হবে। বিজেপি সূত্র বলছে, ৩০ মে নতুন সরকারের শপথগ্রহণের কথা রয়েছে। ফলে যা হওয়ার তা আগামী পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যেই হবে।