খাগড়াছড়ির দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের বড়মেরুং মৌজার রথীচন্দ্র কার্বারীপাড়ায় বাদুর গুহা নামে একটি গুহা আবিষ্কার হয়েছে। এটি ভ্রমণপিয়াসীদের নতুন আকর্ষণে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় ত্রিপুরাদের দেয়া নাম তাবাক্ষ (বাদুর গুহা)। এর সাথেই রয়েছে বিশাল আকারের ঝর্না। এক সাথে গুহা-ঝর্না দুটিই উপভোগ করা যাবে। দীঘিনালা সদর থেকে মাত্র ৭ কিলোমিটার গাড়িযোগে যাওয়ার পর ৫-১০ মিনিট হাঁটা রাস্তার পরই দেখা মিলবে এ গুহার। খাগড়াছড়ির সদরের আলুটিলা গুহার চেয়েও বড় এটি। দেখতে মনে হয় দুই পাশে পাথরের দেয়াল আর ছাদও পাথর দিয়ে ঢালই করা। আনুমানিক ২শ থেকে ৩শ ফুট লম্বা।
রথীচন্দ্র কার্বারী পাড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রামেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, গুহাটি অনেক আগে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হয়েছে। এতে বাদুর বেশি থাকায় বাদুর গুহা নামে আমরা বলে থাকি। গুহাটি যে এত সুন্দর, তা নিজচোখে না দেখলে মনে হবে না।
গুহাটি দেখতে আসা অজিত বড়–য়া বলেন, আমি অনেক পর্যটন স্থানে গিয়েছি। কিন্তু এত বড় ও সুন্দর গুহা দেখি নাই। খাগড়াছড়ি আলুটিলার চেয়ে অনেক লম্বা এটি। মনে হচ্ছে গুহার দুই পাশ ও ছাদ পাথর দিয়ে ঢালই করা। গুহাটি দেখলে পর্যটকদের মন ভরে যাবে।
খাগড়াছড়ি সদর থেকে গুহা দেখতে এসে কৃত্তিভূশন চাকমা বলেন, গুহাটি অনেক সুন্দর। আমরা ১০-১৫ জন বন্ধু নিয়ে দেখতে এসেছি এটি। পাশে ঝর্নাও রয়েছে।
