পর্দার প্রেমে আপত্তি অভিষেক ও ঐশ্বরিয়ার

46

এক সময় রুপালি পর্দার রসায়ন খুব ভালো জমিয়েছিলেন অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। কিন্তু সেটা এক যুগেরও বেশি সময়ের আগের কথা। একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে রিয়েল লাইফেও সাবেক বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়ার প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন অমিতাভ-পুত্র অভিষেক। ২০০৭ সালে হঠাৎ একদিন ঐশ্বরিয়াকে বিয়ের প্রস্তাব দেন অভিষেক। রাজি হয়ে যান। ওই বছরই ধুুমধামে বিয়ে। সেই থেকে দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সংসার করছেন এ জুটি। আরাধ্যা নামে তাদের একটি কন্যা সন্তানও আছে। কিন্তু যে পর্দার প্রেম থেকে তাদের বাস্তবের প্রেম শুরু হয়েছিল, সেই পর্দার প্রেমে আর ফিরে যেতে চান না অভিষেক-ঐশ্বরিয়া। তাইতো সম্প্রতি ‘গুলাব জামুন’ নামের একটি ছবি থেকে দুজনে একসঙ্গে সরে দাড়িয়েছেন তারা। যেখানে নায়ক-নায়িকা হিসেবে অভিনয় করার কথা ছিল বচ্চন পরিবারের এই দুই সদস্যের। বহুদিন বাদে এই ছবি দিয়ে অভিষেক-ঐশ্বরিয়া একসঙ্গে পর্দায় ফিরবেন বলে আশায় ছিলেন দর্শক। কিন্তু দুজনে জানিয়ে দেন, প্রেমের সম্পর্কের বাইরে কোনো চরিত্র পেলে তারা অভিনয় করবেন।
তবে অনুরাগ কাশ্যপ প্রযোজিত ‘গুলাব জামুন’ নিয়ে প্রথম দিকে নাকি ভীষণ উত্তেজিত ছিলেন অভিষেক-ঐশ্বরিয়া। ঘনিষ্ঠ মহলে এই ছবির ব্যাপারে প্রস্তুতির কথাও জানিয়েছিলেন দুই তারকা। কিন্তু হঠাৎই তারা সরে দাড়ানোর ঘোষণা দেন। এর আরো একটি কারণ হচ্ছে, শুটিং শুরুর আগে নাকি ছবির চিত্রনাট্যে কিছুটা পরিবর্তন চেয়েছিলেন অভিষেক-ঐশ্বরিয়া। তাতে রাজি হননি অনুরাগ। যার কারণে শেষ মুহূর্তে ছেড়ে দেন ছবির কাজ। যদিও এ ব্যাপারে দুই তারকা এখনো কিছু জানাননি। সবই তার ঘনিষ্ঠ মহল থেকে পাওয়া খবর। অভিষেক ও ঐশ্বরিয়া প্রথম জুটি বেঁধেছিলেন ২০০৩ সালে ‘কুছ না কাহো’ ছবিতে।
এরপর ২০০৫ সালে ‘সরকার এবং ২০০৭ সালে ‘গুরু’ ছবিতে তারা স্ক্রিন শেয়ার করেন। তারকা এ দম্পতি অভিনীত শেষ ছবি ‘রাবণ’। এটি মুক্তি পেয়েছিল ২০১০ সালে। সেই হিসেবে প্রায় ৯ বছর একসঙ্গে পর্দায় দেখা নেই তাদের। আবার কবে বড় পর্দায় একসঙ্গে এই দম্পতি অভিনয় করবেন, তার অপেক্ষায় আছেন বলিউডের সিনেপ্রেমীরা।