পরীক্ষায় সময় নিজের ওপর শতভাগ বিশ্বাস রাখাই শ্রেয়

211

অপর্ণাচরণ সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় : অপর্ণাচরণ সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আশে পাশের কারো কাছ থেকে সহায়য়তা পাওয়া যাবে এমন আশা নিয়ে পরীক্ষার হলে না যাওয়ার পরামর্শ দিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ আ জ ম নাছির উদ্দীন। তিনি গত সোমবার নগরীর অপর্ণাচরণ সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মিলনায়তনে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। স্থানীয় কাউন্সিলর মোহাম্মদ সলিম উল্লাহ বাচ্চুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চসিক শিক্ষা স্বাস্থ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান কাউন্সিলর নাজমুল হক উিউক, বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য এম.এম সাইফুদ্দিন, ওমর আলী ফয়সল, মিসেস শাহীন আকতার, প্রতিষ্ঠান প্রধান অধ্যক্ষ জারেকা বেগম, সহকারী প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ইসমাইল, পলী রানী শীল, সংগীতা ব্যানাজি, কৃষ্ণ কুমারী সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহমদ হোসাইন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পরিষদের সদস্যবৃন্দ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিবাবকগণ উপস্থিত ছিলেন। সিটি মেয়র আরো বলেন, নিজের ওপর শতভাগ বিশ্বাস রাখাই শ্রেয়। এর আগে তোমরা পিএসসি, জেএসসি এবং নির্বাচনী পরীক্ষায় সফল হয়ে এ পর্যায়ে এসেছো। তাই এ চুড়ান্ত পরীক্ষায় তুমি পারবে এবং তোমাকে পারতেই হবে। যে কোনো পরীক্ষা হচ্ছে মুল্যায়নের একমাত্র পদ্ধতি। শিক্ষা ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থীর জন্য এসএসসি পরীক্ষা হচ্ছে জীবনের প্রথম মাইল ফলক। তিনি আরো বলেন, এ পরীক্ষার মাধ্যমে দীর্ঘ দশ বছরের শিক্ষা জীবনের যাচাই-বাছাই হয়। এর মধ্য দিয়ে শুরু হয় উচ্চ শিক্ষার প্রথম ধাপ। এমনকি এসএসসি পরীক্ষা জীবনের লক্ষ্য স্থির করার পথ। আগেকার পরীক্ষা আর এখনকার পরীক্ষার মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। তাই এখনকার পরীক্ষার্থীরা অনেক সৌভাগ্যবান। তারা সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা দিচ্ছে। এতে শিক্ষা গ্রহনে পুরানো নীতিতে কষ্ট করতে হতে হচ্ছে না। অল্প সময়ে বেশী শিখা সম্ভব। লেখাপড়া অধিক মনোযোগী হলে চিন্তাশক্তির বিকাশ ঘটিয়ে ভাল ফলাফল করা সম্ভব বলে মেয়র উল্লেখ করেন। মেয়র আরো বলেন এস.এস.সি পরীক্ষা শুরু হতে আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকী। এর মাঝে সকল পরীক্ষার্থী তাদের সকল প্রস্তুতি শেষ করে নিয়েছে। তাই আর যেটুকু সময় আছে, তাতে নতুন করে কোনো কিছু না পড়া, না শিখাই ভাল।পুরানো যা পড়া হয়েছে, বারবার ঝালাই করা উচিত। মনের সাহস যে কোনো ব্যাপারে একটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এজন্য মেয়র কয়েকটি বিষয়ে অধিকতর গুরুত্ব দিতে পরীক্ষার্থীদের পরামর্শ দেন। পরীক্ষার প্রথম দিন প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা শুরুর অন্ততঃএক ঘন্টা আগে পরীক্ষা হলে পৌঁছার চেষ্ঠা করতে হবে। এছাড়া বাড়ী থেকে পরীক্ষা হলের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে দরকারী জিনিসপত্র বিশেষ করে প্রবেশপত্র, রেজিস্ট্রেশন কার্ড, কলম, পেন্সিল, ঘড়ি ইত্যাদি সংঙ্গে আছে কিনা তা দেখে নেওয়ার আহবান জানান মেয়র। প্রসংক্রমে মেয়র বলেন অপর্ণাচরণ সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় নগরীর প্রথম শ্রেণির একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন পরীক্ষায় এই প্রতিষ্ঠানের সুনাম রয়েছে। সেই সুনাম তোমাদের অগ্রজরাই অর্জন করেছে। আরো বৃদ্ধি পায় সেই প্রাণবন্ত প্রচেষ্ঠা চালিয়ে যাওয়ার জন্য পরীক্ষার্থীদের তাগিদ দিলেন মেয়র। পরে তিনি পরীক্ষার্থীদের হাতে পরীক্ষা সামগ্রী তুলে দেন। অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বিজ্ঞপ্তি
পাহাড়তলী গালর্স স্কুল এন্ড কলেজ : ৯নং উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো. জহুরুল আলম বলেন, পাহাড়তলী গালর্স স্কুল এন্ড কলেজ বর্তমানে কলেজ বিভাগে মানবিক ও ব্যবসা শাখার শিক্ষার্থীরা পাঠদানের সুযোগ পাচ্ছে ইনশাল্লাহ আগামীতে বিজ্ঞান বিভাগেও শিক্ষা কার্যক্রম চালু হবে। ভবিষ্যতে পাহাড়তলী গালর্স স্কুল এন্ড কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করা হবে এ জন্য শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষারমান বাড়াতে হবে। জীবনের যে কোন পরীক্ষায় অনৈতিক সুযোগ সুবিধা নিয়ে পাশ করলে জীবনে পদে পদে পরাজয়ের গ্লানি বয়ে বেড়াতে হবে। যেসব অভিভাবক কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার সময় অনৈতিকতার সুযোগ তৈরি করে দেয় সে সকল মা-বাবা সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে না। পাশাপাশি বর্তমানে অভিভাবকরা অল্প বয়সে মেয়েদেরকে বিবাহ দিয়ে স্কুলে পড়াচ্ছেন। আগামীতে অত্র স্কুলে কোন বিবাহিত শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ে রাখা হবে না। বিবাহিত শিক্ষার্থীরা শ্রেণীর দেওয়া পাঠে মনোযোগী না হয়ে সংসারিক জীবন নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত থাকে এতে অন্য শিক্ষার্থীদের পাঠদানে ব্যঘাত সৃষ্টি করে। তাই বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে অভিভাবক সহ শিক্ষাথীদের সচেতন হতে হবে। গত ২৮ জানুয়ারি পাহাড়তলী গালর্স স্কুল এন্ড কলেজে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সাফল্য কামনায় মিলাদ মাহফিল আনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহব্বান জানান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. ফজলুল করিম। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন পরিচালনা পরিষদের সদস্য মো. আবুল কাশেম, মো. ওমর ফারুক সুমন। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. ফজলুল করিম, সহকারী প্রধান শিক্ষক শাহ্ মোহাম্মদ ইমরান, জেসমিন আক্তার রব, কাজী বেলায়েত হোসেন ও শারিমন জাহান। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলোয়াত পাঠ করেন শিক্ষার্থী আফিফা সুলতানা কলি। হাম ও নাতের রাসূল পরিবেশন করেন নুজাইমা বিনতে গণি ও তামান্না আক্তার রুনু। মানপত্র পাঠ করেন আবিদা রহমান। পরীক্ষার্থীদের সাফল্য কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন শিক্ষক ওয়ালীউল্লাহ মুহাম্মদ শামসুদ্দিন। অনুষ্ঠানে ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ সহ এস.এস.সি পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
পাঁচলাইশ সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় : পাঁচলাইশ সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০১৯ সালের এস.এস.সি পরীক্ষার্থীদের বিদায়, নবাগতদের নবীন বরণ ও বার্ষিক মিলাদ মাহফিল গত ২৮ জানুয়ারি সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পাঁচলাইশ ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ কফিল উদ্দিন খাঁন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন পাঁচলাইশ এসএম নাছির উদ্দিন সি/ক মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ মিসেস জয়নব বেগম, পাঁচলাইশ সি/ক কিন্ডারগার্টেন অধ্যক্ষ মিসেস আফরোজা ইয়াসমিন, সাবেক প্রধান শিক্ষক মজিফুল ইসলাম। মিলাদ মাহফিল পরিচালনা করেন সহকারী শিক্ষক গোলাম রাব্বানী ও সহকারী শিক্ষক মো. ইউছুপ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ সেকান্দর। শিক্ষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী শিক্ষক রাজন চক্রবর্তী, শিক্ষক মিনাশীল, মাহমুদুল হক, আবদুর রাজ্জাক, সীমা মুৎসুদ্দী, নিলীমা পারভীন, শ্যামা মহাজন, আবদুল্লাহ আল মামুন, ইসরাত জাহান, কাকলী বৈদ্য, পারুল নাহার, নিলুফার বেগম, অভিভাবক সদস্য মিসেস নাছরিন আক্তার প্রমুখ। এতে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আবু তৈয়ব।
আলকরণ সুলতান আহমদ দেওয়ান সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় : আলকরণ সুলতান আহমদ দেওয়ান সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এস.এস.সি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান গত সোমবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বিদায়ী ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন ৩৩নং ফিরিঙ্গী বাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ হাসান মুরাদ বিপ্লব। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আয়েশা পারভীনের সভাপতিত্বে ও শিক্ষিকা নন্দা বড়ুয়ার সঞ্চলায় এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক শাহাদত হোসেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য সিরাজুর রহমান, নিগার সীমা, সহকারী শিক্ষক নুর হোসেন, আরিফ জামীন, শিক্ষিকা বিলকিছ বেগম, মো. বদিউল সোহেল, আরিফুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম। এ সময় প্রধান অতিথি বলেন, নিজেকে নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে শিক্ষার মূলমন্ত্রকে সমাজের প্রতিটি স্তরে পৌঁছে দিতে হবে এবং পড়ালেখার পাশাপাশি নিজেকে সুশিক্ষিত ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তিনি বর্তমান সরকারের প্রশংসা করে আরো বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষাকে আধুনিক ও বিশে^র সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষার মানকে উপযোগী করে তুলছে। পাশাপাশি মেধাবীরা যেন তাদের শিক্ষার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয় সেজন্য প্রশাসনকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি