‘পরিস্থিতি নেই’, নাইজেরিয়ার নির্বাচন এক সপ্তাহ পিছিয়েছে

30

প্রস্তুতির ঘাটতি ও পরিস্থিতি বিবেচনায় নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। শনিবার আগের নির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী ভোটগ্রহণ শুরুর ৫ ঘণ্টা আগে নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান মাহমুদ ইয়াকুবু আকস্মিক এক ঘোষণায় নির্বাচন পিছিয়ে দেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। “নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাস্তবতা নেই,” বলেছেন মাহমুদ।
নতুন তফসিলে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ২৩ ফেব্রæয়ারি হবে বলেও ঘোষণা করেন তিনি। তিনি একইসঙ্গে গভর্নর নির্বাচন, রাজ্য ও অন্যান্য এলাকার পার্লামেন্ট নির্বাচনও পিছিয়ে দেন। শুক্রবার রাজধানী আবুজাতে নির্বাচন কমিশনের (আইএনইসি) এক জরুরি বৈঠকের পর নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার ঘোষণা আসে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
আইএনইসির চেয়ারম্যান জানান, তার কমিশন নাইজেরিয়াতে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে বদ্ধপরিকর। পরিস্থিতির ‘সতর্ক পর্যবেক্ষণ’ শেষেই ভোট পেছানোর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও দাবি তার। “নির্বাচনের মান ঠিক রাখতে ও কমিশনকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নজর দেওয়ার সময় দিতেই ভোট না পিছিয়ে উপায় ছিল না,” বলেন মাহমুদ। নির্বাচনকে ঘিরে নাইজেরিয়াতে সপ্তাহ দুয়েক ধরেই অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশনের বেশ কয়েকটি অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে, নষ্ট হয়ে গেছে হাজার হাজার স্মার্ট কার্ড রিডার ও ভোটার কার্ড।
নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতা ঠেকাতে নেওয়া কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যেই এ ধরনের সহিংসতার দেখা মিলেছে। শুক্রবার নাইজেরিয়ার উত্তর পশ্চিমের এলাকা থেকে কর্তৃপক্ষ ২২ শিশু ও ১২ নারীসহ ৬৬টি মৃতদেহ উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন। সন্ত্রাসী তৎপরতায় এ ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেও কর্মকর্তারা দাবি করেছেন। দেশটির ৩৬টি রাজ্যের কয়েকটিতে নির্বাচনী সরঞ্জামের ঘাটতির কথাও জানা গেছে। নাইজেরিয়ার এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৭৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও ৭৬ বছর বয়সী বর্তমান প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি ও ৭২ বছর বয়সী সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আতিকু আবুবাকারের মধ্যেই মূল লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আফ্রিকার এ দেশটিতে ভোট পেছানোর ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগে ২০১১ ও ২০১৫ সালের নির্বাচনও পেছানো হয়েছিল।