পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ-র‌্যাব ব্যর্থ হলে নামবে সেনা

22

ভোটের পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি (বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ) ব্যর্থ হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সশস্ত্র বাহিনী কাজ করবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদত হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনী এই নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নয়, সিআরপিসির ১২৭ থেকে ১৩২ ধারা অনুযায়ী, তারা দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি ব্যর্থ হলে তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সশস্ত্র বাহিনী কাজ করবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন ভবনের কন্ট্রোল রুমে ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় জাতীয় পরিচয়পত্র অনু বিভাগের (এনআইডি) ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।
পরে মেজর রাজু আহমদ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিভাবে মোতায়েন করা হয়েছে তা মানচিত্রের মাধ্যমে সাংবাদিকদের তুলে ধরেন। খবর বাংলানিউজের
একদিনে ৩০০ আসনে নির্বাচন করাই বড় চ্যালেঞ্জ। নির্বাচনে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি আছে বলে আমি মনে করি না। রাজনৈতিক চাপ ও উত্তেজনা বিরাজ করতে পারে।
নির্বাচন কমিশনার শাহাদত বলেন, নির্বাচনের জন্য ইসিতে স্থাপিত কন্ট্রোল রুম থেকে তিনশটি আসনের সরাসরি তদারকি করা হবে। কোনো ধরনের ঘটনা কোনো কেন্দ্রে ঘটলে এখন থেকে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) বিষয়ে তিনি বলেন, ৬টি আসনে ইভিএম মেশিন ইতোমধ্যে পৌঁছে গেছে। এখন চলছে মক ভোটিং। সার্বিক দিক থেকে আমাদের প্রস্তুতি ভালো। পুরো নির্বাচনে প্রায় ৫ লাখের বেশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, অনেক অভিযোগের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। যেসব পাওয়া গেছে সেগুলোর সমাধান আসন থেকে করা হবে। ইসি থেকে নয়। জেলা পর্যায়ে এসব ব্যাপারে ১২২ ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটি করা আছে। তারাই এসব সমস্যার সমাধান করবেন।