পরিযায়ী শ্রমিকদের ট্রেন ভাড়া দিতে বলায় ভারতজুড়ে ক্ষোভ

23

নিজ রাজ্যে ফেরার চেষ্টারত পরিযায়ী শ্রমিকদের তাদের নিজেদের ট্রেন ভাড়া বহন করতে হবে, কেন্দ্রীয় সরকারের এমন সিদ্ধান্তে ভারতজুড়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। নতুন করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ২৪ মার্চ থেকে ভারতে লকডাউন শুরু হয়। এতে লাখ লাখ দিন মজুর ভারতের বিভিন্ন রাজ্য আটকা পড়েন, বন্ধ হয়ে যায় তাদের আয়ের পথ।
নগদ টাকা, আশ্রয় ও খাদ্যবিহীন এসব পরিযায়ী শ্রমিকরা নিজ নিজ রাজ্যে ফিরতে মরিয়ে হয়ে ওঠে। বহু লোক হেঁটে কিংবা সাইকেলে করে শত শত বা কখনো কখনো হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে নিজ নিজ রাজ্যে ফেরার উদ্যোগ নেন। এরকম চেষ্টা করতে গিয়ে অনেকেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
অনেকে এভাবে ফিরলেও বেশিরভাগ শ্রমিকই বিভিন্ন দূর রাজ্যে আটকা পড়ে আছেন। এ পরিস্থিতিতে আটকা পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ট্রেনের ব্যবস্থা করার ঘোষণা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু তাদের ট্রেন ভাড়া তাদেরই বহন করতে হবে বলে জানায় রেল মন্ত্রণালয়। কিছু টিকেটের দাম প্রায় ৮০০ রুপি, কিন্তু একজন দিন মজুর প্রতিদিন ২০০ থেকে সর্বোচ্চ ৬০০ রুপি আয় করতে পারেন বলে জানাচ্ছে বিবিসি। এ নিয়ে ভারতজুড়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার মুখে প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেস জানিয়েছে, তারা শ্রমিকদের ট্রেন ভাড়া বহন করবে।
এক বিবৃতিতে কংগ্রেস পার্টি প্রধান সোনিয়া গান্ধী বলেছেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রতি ‘সংহতি’ জানিয়ে কংগ্রেস তাদের ট্রেন ভাড়া পরিশোধের ব্যবস্থা করবে। সরকার অন্যান্য দেশে আটকা পড়া ভারতীয় নাগরিকদের যখন বিনা ভাড়ায় উড়োজাহাজযোগে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেছে, তখন শুধু পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছে ট্রেন ভাড়া চাওয়া হচ্ছে কেন, বিবৃতিতে এ প্রশ্ন রেখেছে কংগ্রেস। নিজেদের সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যায় ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার বলছে, ‘সত্যিকারের আটকা পড়া’ লোকজনই যেন এই ট্রেন সার্ভিসগুলো ব্যবহার করে তা নিশ্চিত করতেই তাদের এ সিদ্ধান্ত।