পরিবহন সেক্টরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের শাস্তি দাবি

51

চট্টগ্রাম বিভাগীয় গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে ধর্মঘট হুমকির প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম বিভাগীয় গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এফ রহমান হলে আয়োজিত এ সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সদস্য সচিব বেলায়েত হোসেন বেলাল।
এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহবায়ক আবদুল নবী লেদু, বৃহত্তর চট্টগ্রাম পণ্য পরিবহন মালিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. আবদুল মান্নান, চট্টগ্রাম প্রাইম মুভার ফ্ল্যাটবেড ওনার্স এসোসিয়েশনের নির্বাহী সভাপতি মো. আবু বক্কর সিদ্দিক, সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল হাশেম। উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম ধুম-শুভপুর হিউম্যান হলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল আবছার, আন্তঃজেলা ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সভাপতি মনির আহমদ, আন্তঃজেলা ট্রাক-কভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দ্বীন মোহাম্মদ, বন্দর ট্রাক মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবীর সোহেল, রাঙামাটি জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক সেকান্দর হোসেন, চট্টগ্রাম আন্তঃজেলা ট্রাক-শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. ইলিয়াছ, চট্টগ্রাম পিকআপ-মিনি ট্রাক-সিএনজি অটো টেম্পু মালিক-চালক ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম মোস্তফা, রাঙামাটি জেলা ট্রাক-মিনি ট্রাক-ট্যাংক লরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রæপের সহ-সভাপতি মো. রুহুল আমিন, যাত্রী সেবা পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, কালুরঘাট ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নাছির, চট্টগ্রাম জেলা ট্রাক-মিনি ট্রাক মালিক-শ্রমিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আলী, পতেঙ্গা ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি মো. হারুন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
এতে বেলায়েত হোসেন বেলাল বলেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক ঐক্য পরিষদ নামে নামসর্বস্ব সংগঠনটি দীর্ঘদিন ধরে পরিবহন সেক্টরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও চাঁদাবাজিসহ গাড়ীর পারমিট প্রদানের নামে মালিকদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তারা আবার গাড়ীর মালিকদের জন্য মায়াকান্না করছে। কথিত এ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কর্মকর্তাদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। একইসাথে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও বিআরটিএ’র ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যক্রমকে চ্যালেঞ্জ করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে তারা। নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে না পেরে প্রশাসনের যৌক্তিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ জানাতে ৯ দফা দাবি নিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে ধর্মঘটের হুমকি প্রদান করা হয়েছে। যা সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডে বাধা হয়ে পড়বে। পরিবহন সেক্টরে নৈরাজ্য সৃষ্টি, চাঁদাবাজি, প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধাচরণ ও সরকারের উন্নয়নবিরোধী কার্যক্রম চালিয়ে পরিবহন ধর্মঘটের হুমকি দিয়ে রাস্তায় নামলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে। প্রয়োজনে চট্টগ্রাম বিভাগীয় গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধর্মঘটের হুমকিদাতাদের প্রশাসনের হাতে তুলে দেবে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী পরিবহন সেক্টরে নৈরাজ্য ও বিশৃংখলা দূর করে শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সরকারের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ করতে কতিপয় নামসর্বস্ব পরিবহন সংগঠন মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে সর্বত্র গুজব ছড়াচ্ছে এবং কোন কারণ ছাড়াই ধর্মঘটের হুমকি দিচ্ছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর তথাকথিত চট্টগ্রাম বিভাগীয় গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে ৭২ ঘণ্টার সময় নির্ধারণ করে যে ৯টি দাবি দেয়া হয়েছে সেগুলো সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও বে-আইনী। এসব দাবির বিষয়ে কোন ধরনের আলোচনায় না বসতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে হবে। চট্টগ্রাম বিভাগের মেট্টোপলিটন এলাকাসহ সকল জেলা-উপজেলায় গাড়ী চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। সকল মালিক-শ্রমিক স্ব স্ব গাড়ী নিজেরাই রাস্তায় বের করবে। অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের নামে যদি কেউ রাস্তায় বিশৃংখলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায় তাহলে চট্টগ্রাম বিভাগের গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিকগণ তা শক্তহাতে প্রতিরোধ করবে এবং তাদেরকে ধরে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে হস্তান্তর করবে। চট্টগ্রাম বিআরটিএ’তে কমপক্ষে ৪/৫ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রীর নিকট দাবি জানান নেতৃবৃন্দ। খবর বিজ্ঞপ্তির