পরিচয়পত্র সংশোধনে ৩৪৯২ আবেদন

71

জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য উপাত্ত সংশোধনে প্রতিনিয়ত আবেদন জমা পড়ছে নির্বাচন কমিশনে। সংশ্লিষ্ট থানা নির্বাচন অফিসের মাধ্যমে জমা পড়া এসব আবেদন তদন্ত, শুনানি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি যাচাই-বাছাই শেষে ভোটাররা পাচ্ছেন সংশোধিত জাতীয় পরিচয়পত্র। জাতীয় নির্বাচন ও উপজেলা নির্বাচনের সময় বন্ধ থাকলেও আবারো সংশোধনের আবেদন জমা নেয়া হচ্ছে। গত ছয়মাসে ২১টি থানা নির্বাচন অফিসে তিন হাজার ৪৯২টি সংশোধন আবেদন করেছেন ভোটাররা। এরমধ্যে ৩২১টি আবেদনে অসঙ্গতি ও উপযুক্ত প্রমাণাদি না থাকায় অনিষ্পন্ন অবস্থায় রয়েছে।
চট্টগ্রাম সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান পূর্বদেশকে বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিসের মাধ্যমে সংশোধনের আবেদন করতে হয়। আবেদনের তথ্য ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখানে পাঠানো যাবতীয় কাগজপত্রাদি যাচাই-বাছাই করে তদন্ত ও শুনানি শেষে পরিচয়পত্র সংশোধন করা হয়। ঢাকা থেকে সংশোধিত হয়ে আসতে কিছুদিন সময় লাগে। চট্টগ্রামে শুধু হারানো পরিচয়পত্র তোলা যায়। আমরা সংশোধিত পরিচয়পত্র চট্টগ্রাম থেকে প্রিন্ট করার জন্য প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। ভবিষ্যতে এখান থেকে প্রিন্ট হতে পারে।’
নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের ২১টি থানার মধ্যে কোতোয়ালীতে ৫২টি, ডবলমুরিংয়ে ৮০টি, পাঁচলাইশে ৭৫টি, বন্দরে ১৬২টি, পাহাড়তলীতে ১২টি, চান্দগাঁওয়ে ২৬টি, মিরসরাইয়ে ৬৭টি, সীতাকুÐে ৬৫টি, স›দ্বীপে ৩০০টি, ফটিকছড়িতে ৭০টি, রাউজানে ৪২টি, রাঙ্গুনিয়ায় ৩০টি, হাটহাজারীতে ৪১৫টি, বোয়ালখালীতে ৬২টি, কর্ণফুলীতে ১০টি, পটিয়ায় ২২০টি, আনোয়ারায় ৭৮টি, চন্দনাইশে ৯টি, সাতকানিয়ায় ১৫৭৭টি, লোহাগাড়ায় ৪৫টি, ও বাঁশখালীতে ৯৫টি সংশোধিত আবেদন করেন ভোটাররা।
জানা যায়, জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য নির্ধারিত ফরমে (ফরম-২) আবেদন করতে হয়। এ আবেদনের সাথে ব্যাংকে জমা দিতে হয় সংশোধিত ফি। বর্তমানে জাতীয় পরিচয়পত্র বা সংরক্ষিত তথ্য উপাত্ত এবং চাহিদামত সংশোধিত তথ্য উল্লেখপূর্বক যাবতীয় কাগজপত্রাদি সংযুক্ত করতে হয়। সংশোধন আবেদনের ধরনের উপর নির্ভর করেই এসব কাগজ দিতে হবে। যেমন- জাতীয় পরিচপত্রধারীর নাম (বাংলা ইংরেজি) এবং জন্মতারিখ সংশোধনের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার ন্যূনতম এসএসসি সনদপত্র, সনদপত্র না থাকলে কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত থাকলে তার চাকরি বই, পেমেন্ট অর্ডার, পাসপোর্ট, জন্মনিবন্ধন সনদ, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ট্রেন্ড লাইসেন্স ও কাবিননামার সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে। নামের বানান সংশোধনের ক্ষেত্রে এসব তথ্যের পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সম্পাদিত হলফনামা ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির কপি জমা দিতে হবে। একইভাবে আবেদনের ক্ষেত্র অনুসারে আরো কিছু প্রমাণাদি সংযুক্ত করতে হয়।
কোতোয়ালী থানা নির্বাচন কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম পূর্বদেশকে বলেন, ২নং ফরমে সংশোধনের আবেদন করলে আমরা তা ঢাকায় পাঠিয়ে দিই। ঢাকা থেকেই সংশোধিত পরিচয়পত্র প্রিন্ট হয়ে আসে। নির্ধারিত কিছু ধাপ পেরিয়ে তা আসতে কিছুদিন সময় লাগে। চট্টগ্রাম জেলা অফিস থেকে প্রিন্ট করা গেলে আরো দ্রæত সংশোধিত পরিচয়পত্র হস্তান্তর করা যেতো।