পরিচ্ছন্ন হাতই পরিচ্ছন্ন নগরী গড়তে পারে

33

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস অনেক সংক্রামক রোধ-ব্যাধি থেকে মুক্তি দিয়ে অকালমৃত্যু প্রতিরোধে সাহায্য করে। সিটি মেয়র আরো বলেন, নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস সংক্রামক রোগ প্রতিরোধের জন্য সহজ ও অত্যন্ত কার্যকর উপায়। বিশ্বের অধিকাংশ শিশুর মৃত্যুর কারণ ডায়রিয়া, নিউমোনিয়ায়। সঠিক নিয়মে হাত পরিষ্কার না করলে ডায়রিয়া, আমাশয়, টাইফয়েড, জন্ডিস, পেটের পীড়া, কৃমিসহ বিভিন্ন রোগ হওয়ার আশংকা বাড়ে। তাই তিনটি বিশেষ সময়ে হাত ধোয়া অত্যাবশকীয়। এগুলো হলো খাবার আগে, শিশুকে খাওয়ানোর আগে এবং টয়লেট ব্যবহারের পর। পরিচ্ছন্ন হাতই পারে পরিচ্ছন্ন নগরী গড়তে। তাই নিজে পরিচ্ছন্ন থাকার চেষ্টা করবো, অন্য সবাইকে তা মানতে উদ্বুদ্ধ করবো।
গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র এসব কথা বলেন। ইউএনডিপি’র কারিগরি সহযোগিতায় বাংলাদেশ সরকার ও ডিএফআইডি’র আর্থিক সহযোগিতায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভার পূর্বে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। নগরীর পশ্চিম ষোলশহরের রৌফাবাদ এলাকায় বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস উপলক্ষে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচির আয়োজন করে টাউন ফেডারেশন ও সিডিসি। কর্মসূচির মধ্যে সভা ও র‌্যালি ছাড়াও ছিল জনসচেতনতামূলক কবিগান পরিবেশন এবং হাত ধোয়ার কৌশল প্রদর্শন।
এতে সভাপতিত্ব করেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ মোবারক আলী, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবিদা আজাদ ও সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এলআইইউপিসি প্রকল্পের ভারপ্রাপ্ত টাউন ম্যানেজার জিয়াউর রহমান। এতে সিডিসি এবং ক্লাস্টারের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সিটি মেয়র বলেন, এই নগরীতে দারিদ্র জনগোষ্ঠির সংখ্যা প্রায় ১৪ লক্ষ ৭০ হাজার। এদের মধ্যে চসিক ৪০৪টি সিডিসি’র আওতাধীন প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ দরিদ্র মানুষের জীবনমান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া চসিকের সহায়তায় সরকারি এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো দারিদ্র বিমোচনে কাজ করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন পরিচ্ছন্ন গ্রাম এবং পরিচ্ছন্ন নগর গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে এই হাত ধোয়া দিবস। তিনি বলেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা জীবনের অঙ্গ। খাবার শুরুতে যেমন হাত ধোয়া দরকার, তেমনি খাবার বানাতে ও পরিবেশন করতেও হাত ধোয়া জরুরি। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে হাত ধোয়া, হাত পরিষ্কার রাখা সুস্বাস্থ্যের অন্যতম পূর্বশত। এই একটি অভ্যাস আমাদের স্বাস্থ্যের উপর বিরাট প্রভাব রাখতে পারে। সুস্থ থাকার প্রাথমিক কাজই হলো খাবার আগে ভালোভাবে সাবান দিয়ে সঠিক নিয়মে হাত পরিষ্কার করা। অনেকেই এ ব্যাপারটা জানলেও বাস্তবে এর অনুসরণ করেন কম। তাইতো বিশ্বব্যাপী সবাইকে হাত ধোয়ার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করা ও হাত ধোয়ায় উদ্বুদ্ধ করতে এই দিবসটি পালনের মূল লক্ষ্য। বিজ্ঞপ্তি