পরাজয়ের মুখোমুখি বাংলাদেশ

24

গত বছরই টেস্ট স্ট্যাটাস পায় আফগানিস্তান। অভিষেক টেস্টে শক্তিশালী ভারতের কাছে হারলেও নিজেদের ২য় টেস্টেই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের স্বাদ পায় তারা। নতুন অধিনায়ক রশিদ খানের নেতৃত্বে সেই আফগানিস্তান নিজেদের তৃতীয় টেস্ট খেলছে বাংলাদেশের বিপক্ষে।
চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টেও জয়ের সুবাস পাচ্ছে আফগানিস্তান। টেস্ট পরিবারের নবীন দলটি র‌্যাঙ্কিংয়ে এক ধাপ এগিয়ে থাকা বাংলাদেশকে হারানোর পথ তৈরি করে ফেলেছে চতুর্থ দিনেই!
৩৯৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ চতুর্থ দিন শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১৩৬। জিততে হলে পঞ্চম দিনে করতে হবে আরও ২৬২ রান। যেভাবে স্বাগতিকদের উইকেট পড়ছিল তাতে বৃষ্টিতে আগেভাগে খেলা বন্ধ না হলে হয়ত জয়ের আরও কাছেই থাকতে পারত রশিদ খানের দল।
সোমবার ম্যাচ ড্র করতে হলে বাকি চার উইকেট কাজে লাগিয়ে টিকে থাকতে হবে সারাদিন। প্রায় ‘অসম্ভব’ এক চ্যালেঞ্জ নিয়ে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ২২ গজে শেষদিনে নামতে হবে সাকিব আল হাসান (৩৯*) ও সৌম্য সরকারকে (০*)।
স্পিন আক্রমণে এমনিতেই আফগানিস্তানের জুড়ি নেই। চট্টগ্রামে স্পিন সহায়ক উইকেট পেয়ে আরও ভয়াল হয়ে ওঠেন জহির খান, রশিদ খান, মোহাম্মদ নবীরা। তাতে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের।
ব্যাটিংঅর্ডারে অদলবদল করেও সুফল মেলেনি। একে একে সাজঘরে ফিরেছেন লিটন দাস (৯), তিনে প্রমোশন পাওয়া মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত (১২), মুশফিকুর রহিম (২৩), মুমিনুল হক (৩), সাদমান ইসলাম (৪১), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৭)।
প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেয়া লেগস্পিনার রশিদ নিয়েছেন তিন উইকেট। শুরুর দুটি উইকেট নেন চায়নাম্যান জহির। শেষের উইকেটটি নিয়েছেন নবী।
৩৯৮ রানের পাহাড় ডিঙাতে দরকার ছিল দুর্দান্ত শুরু। ভালো কিছুর আশা জাগিয়ে জহিরের ঘূর্ণির মুখে লিটন যখন এলবিডবিøউ হন, দলের রান তখন ৩০। তিনে নামানো হয় লোয়ার মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেককে। এ ডানহাতি ব্যাটসম্যানও টিকে থাকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ১২ রান করে বাঁহাতি স্পিনার জহিরের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন বাজে শটের মাশুল গুণে।
মুশফিকুর রহিম কাউন্টার অ্যাটাকে যান ক্রিজে নেমেই। দ্বিতীয় বলেই সুইপ শটে মারেন বাউন্ডারি। পরে আরও তিন বাউন্ডারি মেরে নামের পাশে ২৩ রান যোগ করে রশিদের বলে হন এলবিডবিøউ। আফগান অধিনায়ক পরের ওভারেই মুমিনুলকে এলবিডবিøউ করে বিপর্যয়ে ফেলেন বাংলাদেশকে।
একপ্রান্ত আগলে রাখা সাদমান ফিরে যান থিতু হয়ে। কিছুক্ষণ পর মাহমুদউল্লাহর বিদায়ে চাপ বাড়ে স্বাগতিক ড্রেসিংরুমে।
প্রথম ইনিংসে ২০৫-এ গুটিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ দলকে ৩৯৮ রানের লক্ষ্য দেয় আফগানিস্তান। টেস্টের প্রথম ইনিংস থেকে ১৩৭ রানের লিড নেয়ার পর সফরকারীরা দ্বিতীয় ইনিংসে করে ২৬০।