পটিয়া-কর্ণফুলীতে ২১১ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত

21

ঘূর্ণিঝড় বুলবুল ক্রমেই উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে থাকায় এলাকার বাসিন্দাদের জন্য পটিয়া ও কর্ণফুলী উপজেলায় প্রস্তুত করা হয়েছে ২১১টি আশ্রয়কেন্দ্র। এর মধ্যে কর্ণফুলীতে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে ৪৭টি এবং পটিয়ায় ১৬৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়। বাতিল করা হয়েছে সরকারি সকল শ্রেণির কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ছুটি। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় উভয় উপজেলায় নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে জরুরি সভা করা হয়েছে। করা হয়েছে প্রতিটি আশ্রয় কেন্দ্রের জন্য ব্যবস্থাপনা কমিটি। গতকাল রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ সামশুল তাররীজ ও পটিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুল হাসান। তারা বলেন, স্থায়ী সাইক্লোন শেল্টার ছাড়াও অস্থয়ী ভিত্তিতে বিভিন্ন স্কুল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে। সজাগ রাখা হয়েছে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতিসহ কমিটির সদস্যদের।
জানা গেছে, আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুতের জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দুই উপজেলায়। পাশাপাশি কর্ণফুলী ও পটিয়াস্থ উপকূলীয় এলাকায় বসবাসরত লোকজনদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং শুরু করা হয়েছে। ৬ নম্বর বিপদ সংকেত ও বুলবুল এগিয়ে আসতে থাকায় এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে রাতে বুলবুলের মূল গতিপথ জানার পর যদি বাংলাদেশের দিকে ঝুঁকি দেখা যায় তবে ঝুঁকিতে থাকা বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে মূল কর্মযজ্ঞ শুরু হবে। সে লক্ষে উভয় উপজেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা করা হয়েছে।
কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ সামশুল তাবরীজ জানান, উপজেলায় ৩৪টি স্থায়ী এবং ১৩টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সন্ধ্যা থেকে মাইকিং করে বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়। রাত ১০ পর বুলবুলের আসল গতিপথ জানা যাবে। এরপর সে মতে ব্যবস্থা ও প্রয়োজন হলে বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে রাতের মধ্যে সরে যেতে নির্দেশ দেয়া হবে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে শুকনো খাবার ও প্রয়োজনীয় জনবল।
পটিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুল হাসান জানান, পটিয়ায় ১৩টি স্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়াও আরো ১৫২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রতিটি স্কুলের সভাপতির নেতৃত্বে পরিচালনা কমিটিকে বাসিন্দাদের প্রয়োজনীয় সেবা দিতে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। দুর্যোগ হলে সাথে সাথে যেন সেবা দেয়া যায় সে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।