পটিয়া ও কর্ণফুলী গরু ডাকাতির ঘটনায় শংকিত খামারিরা

63

ডেইরি ফার্ম থেকে একের পর গরু ডাকাতির ঘটনায় শংকিত হয়ে পড়েছেন খামারিরা। দুগ্ধ খামার এলাকা হিসাবে খ্যাত কর্ণফুলী ও পটিয়া এলাকায় কয়দিন পর পর ঘটছে গরু ডাকাতির ঘটনা। খামারের কর্মচারীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রীতিমতো মিনিট্রাক এনে গরু ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। দুইদিনের ব্যবধানে পটিয়া ও কর্ণফুলীতে তিনটি খামারে নয়টি গরু নিয়ে গেছে ডাকাত দল। কোনো খামারের গরু উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
গত ২৮ অক্টোবর কর্ণফুলী থানা এলাকার স্টার ডেইরি ফার্মে অস্ত্রের মুখে কর্মচারীদের জিম্মি করে তিনটি গরু ডাকাতি করে নিয়ে যায়। এর আগের দিন পটিয়ার ভাটিখাইনে ছয়টি গরু ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গত আগস্ট মাসেও পটিয়ার কমলমুন্সির হাটে একটি খামারে গরু ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এর আগে ১২ আগস্ট রাতে চক্রশালায় জলুর দিঘির পাড়ে ওয়াহিদ ডেইরি ফার্ম থেকে পাঁচটি গাভী ডাকাতির ঘটনায় ঘটেছে। ডাকাতি করা একটি গরুও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্বনির্ভর হতে ক্ষুদ্র বিনিয়োগে আগ্রহ বেড়েছে তরুণদের। এ অবস্থায় একের পর এক গরু ডাকাতির ঘটনায় তরুণ উদ্যেক্তরা অনেকটা হতাশ। খামার মালিকরা জানান, ডাকাতির করে নিয়ে যাওয়া একেকটি গরুর বাজার মূল্য দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা। অথচ খামার থেকে ডাকাতি করে নিয়ে যাওয়া গরু উদ্ধারে পুলিশের তেমন মাথাব্যথা নেই।
পটিয় থানার পরিদর্শক (ওসি) বোরহান উদ্দিন জানান, গরু ডাকাতির ঘটনা একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত মাসে চুরি হওয়া একটি মহিষ ও একটি গরু উদ্ধার করেছি। চুরির সাথে জড়িত ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করেছি। গত ২৮ অক্টোবর ডাকাতি হওয়া ছয়টি গরু উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। আশা করছি, দুই একদিনের মধ্যে একটি ভাল খবর দিতে পারবো।
কর্ণফুলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জোবাইর সৈয়দ জানান, স্টার ডেইরি থেকে নিয়ে তিনটি গরু উদ্ধারে ও ঘটনা জড়িতদের গ্রেপ্তারে আমরা চেষ্টা করছি।