পটিয়ায় ২৭ কিলোমিটার রাস্তার ক্ষয়ক্ষতি

48

টানা বর্ষণ, পাহাড়ি ঢল ও জোয়ারের পানিতে এলজিইডি’র আওতাতাধীন ২৭ কিলোমিটার সড়কের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইতোমধ্যে সরেজমিন পরিদর্শন শেষে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুল হাসান জানান, ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তালিকা প্রস্তুতের পর তা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত সড়কসমূহ বন্যায় বার বার ক্ষতি হতে পারে, তাই এবার আর কার্পেটিং করা হবে না। ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে আরসিসি দ্বারা সড়ক নির্মাণের লক্ষ্যে প্রকল্প তৈরির নির্দেশ দিয়েছি। নির্দেশ মতে কাজ করা হচ্ছে।
জানা গেছে, সা¤প্রতিক বন্যায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের পটিয়া উপজেলায় প্রায় ২৭ কিলোমিটার রাস্তার ক্ষতি হয়েছে। টানা ৮ দিনের বৃষ্টিতে উপজেলার শোভনদন্ডী, খরনা, কোলাগাঁও, হাবিলাসদ্বীপ, জিরি, দক্ষিণ ভূর্ষি, ধলঘাট, কেলিশহর এলাকার প্রায় ২৭ কিলোমিটার রাস্তা ক্ষতি হয়। এখনো উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নের লাউয়ারখীল এলাকায় পানি রয়ে গেছে।
বন্যায় পটিয়া উপজেলার দক্ষিণাংশে তথা শোভনদন্ডী, খরনা, বরলিয়া, আশিয়া ও কাশিয়াইশ ইউনিয়নে ঘরবাড়ির পাশাপাশি রাস্তাঘাটেরও বেশ ক্ষতি হয়েছে। খরনা ইউনিয়নের একটি ব্রিজের এপ্রোচ ভেঙে যাওয়ায় গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় এখন পানি কমতে শুরু করেছে। আর ভেসে উঠতে শুরু করেছে বন্যায় ক্ষতের চিহ্ন। পটিয়ায় হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর ব্যক্তিগত ও পটিয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে প্রতিদিন ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ ব্যাহত রয়েছে।
এলজিইডির পটিয়া উপজেলা প্রকৌশলী বিশ্বজিত দত্ত জানিয়েছেন, এবার বন্যায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে তাদের ২৭ কিলোমিটার রাস্তা ক্ষতি হয়েছে। এখনো বিভিন্ন ইউনিয়নের কিছু কিছু রাস্তা পানিতে ডুবে রয়েছে। বৃষ্টির পানি পুরোদমে নেমে গেলে ক্ষতির তালিকা তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হবে।
এদিকে গত ১৫ জুলাই পটিয়া উপজেলার আইনশৃঙ্খলা সভায় হুইপ সামশুল হক চৌধুরী ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা সমূহের তালিকা দ্রæত তৈরির জন্য নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, এসব সড়ক বন্যায় বার বার ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই এসব সড়ক আর কার্পেটিং নয়, আরসিসি দ্বারা নির্মাণ করা হবে। যাতে রাস্তাগুলো কোনোভাবে আর ক্ষতির সম্মুখীন না হয়।