পটিয়ায় সংবাদ সম্মেলনে ব্যাংক কর্মকর্তাকে হত্যার অভিযোগ

36

পটিয়ায় সংবাদ সম্মেলেনে ব্যাংক কর্মকর্তাকে হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন ফরিদের পাড়া এলাকায় জনৈক ইউসুফের ভাড়া বাসায় পূর্বালী ব্যাংক হাটহাজারী শাখার কর্মকর্তা রহিম উদ্দিনকে হত্যা তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন হত্যা করেছে বলে দাবি করা হয়। গত রবিবার পটিয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যাংক কর্মকর্তার পিতা নুরুল হক তার পুত্রকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন হত্যা করেছে বলে এ দাবি করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্যাংক কর্মকর্তার পরিবারের সদস্য রোকন উদ্দিন ও নেজাম উদ্দিন।
পটিয়া বুধপুরা গ্রামের নুরুল হক লিখিত অভিযোগে জানান, তার ছেলে পূবালী ব্যাংক কর্মকর্তা রহিম উদ্দিনের সাথে ২০১৩ সালে সাতকানিয়া খাগরিয়া গ্রামের পল্লী চিকিৎসক সাহাদাত হোসেনের মেয়ে আইরিন হোসাইন তানজিনার সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্ত্রী তানজিনা তার বাবা-মার সাথে ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। এরপর থেকে রহিম উদ্দিনের বাবাসহ পরিবারের সদস্যদের দেখাশুনায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তার স্ত্রী তানজিনা। গত ২৬ জুন রহিম উদ্দিন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রহিম উদ্দিনকে ফুসলিয়ে তানজিনা রহিমের একাউন্ট থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উঠিয়ে নেয়। রহিম উদ্দিন সুস্থ হলে ব্যাংক থেকে টাকা উঠানোর হিসাব নিয়ে স্ত্রীসহ শ্বশুর-শ্বাশুরির সাথে দ্বন্ধ হয়। এর জের ধরে রহিম উদ্দিনকে মাথায় আঘাত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে তার পিতা দাবি করছে।
নুরুল হক জানান, গত ২১ জুলাই বেলা ৩টায় রহিমকে মৃত্যু অবস্থায় মেডিকেলে নিয়ে যায়। বিকেল ৫ টায় রহিমের শ্বাশুরি নুর নাহার বেগম ফোনে জানায়, আপনার ছেলে আত্মহত্যা করে মারা গেছে মেডিকেল থেকে লাশ নিয়ে যান। তিনি মেডিকেলে গিয়ে দেখেন রহিমের মাথায় প্রচন্ড আঘাত, প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। বাসায় গিয়ে রহিম উদ্দিনের কক্ষে মেঝের উপর রক্ত দেখতে পায়। রহিম উদ্দিনের পিতার অভিযোগ, তার ব্যাংকে রক্ষিত টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে স্ত্রী ও শ্বশুর বাড়ীর সদস্যরা তার ছেলেকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে। ঘটনার পর ব্যাংক কর্মকর্তার পিতা চানগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করেছেন। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ট তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য প্রশাসনের নিকট দাবি জানিয়েছে।