পটিয়ায় শেখ রাসেল স্টেডিয়াম নির্মাণের উদ্যোগ

178

পটিয়ায় এবার শেখ রাসেল স্টেডিয়াম নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। উপজেলার পূর্ব হাইদগাঁও সাতগাউছিয়া দরবার শরীফের উত্তর পাশে এ স্টেডিয়ামটি নির্মাণের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। গতকাল বেলা ৩টার দিকে জাতীয় সংসদের হুইপ ও পটিয়ার সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি টিম স্টেডিয়ামের স্থান পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, মাঠটি নির্মিত হলে পটিয়াবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হবে। নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে পটিয়াতে খেলাধুলার আর কোন সমস্যা থাকবে না। প্রায় সাড়ে তিন একর জায়গাজুড়ে গ্যালারিসহ স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করা হবে।
মাঠের স্থান পরিদর্শনকালে হুইপের সাথে ছিলেন পটিয়া উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান, পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিন, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার জসিম উদ্দিন, সাবেক ছাত্রনেতা বিএম জসিম ও হাইদগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম জুলু।
পটিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুল হাসান বলেন, এ স্টেডিয়াম তৈরির জন্য প্রথম দিকে জঙ্গলখাইন ইউনিয়স্থ স্কুলের পাশের জমি নির্বাচন করা হয়েছিল। কিন্তু সেটির বদলে পাহাড়ের পাদদেশে নতুন করে স্থান নির্বাচন করা হয়েছে। এবার নতুন করে প্রকল্প পাঠানো হবে। দ্রæতই স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
জানা গেছে, ক্রীড়া চর্চার জন্য পটিয়া মাঠটি হলো খেলোয়াড়দের ভরসা। মাঠের সাথে স্কুল ও কলেজ হওয়ায় সবসময় খেলার অনুমতিও মেলে না। তবে এ মাঠে খেলাধুলা ছাড়াও এখানে বিভিন্ন স্কুলের স্কাউট, পটিয়া সরকারি কলেজের বিএনসিসিসহ সরকারি গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলোতে কসরত প্রদশর্নী হয়। কিন্তু গ্যালারি ও আসন না থাকায় দর্শক আর খেলোয়াড়দের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
পটিয়া উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার জসিম উদ্দিন বলেন, পটিয়ার এ মাঠেই প্রতি বছর বিভিন্ন টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে উপজেলা ফুটবল লীগ, উপজেলা ক্রিকেট লীগ, শেখ কামাল গোল্ডকাপ ফুটবল, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, আন্ত: উপজেলা ফুটবল, আন্ত: উপজেলা ক্রিকেট টুর্নামেন্ট সম্পন্ন হয়েছে।
পটিয়ার একমাত্র মাঠের চারিদিকে গ্যালারি না থাকায় টুর্নামেন্ট চলাকালীন সময়ে নানা সমস্যা দেখা দেয়। এই মাঠে ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাড়াও পরবর্তীতে বিএনপির প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেন মুহাম্মদ এরশাদ, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, বর্তমান ক্রীড়া মন্ত্রী জাহেদ আহসান রাসেল, বাফুপের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনসহ বিভিন্ন দলের শীর্ষ নেতারা এসেছেন। সর্বশেষ ২০১৮ সালে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের এক বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দিয়েছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এ মাঠের প্রয়োজনীয় উন্নয়ন হয় নি নানা জটিলতায়।