পটিয়ায় মহাসড়ক দখল করে বাউন্ডারি নির্মাণ করছে সড়ক বিভাগ

95

পটিয়ায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাড়কের পাশ ঘেঁষে রেস্ট হাউসের বাউন্ডারী দেয়াল নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পটিয়া পৌরসভা কর্তৃপক্ষের অভিযোগ ইমারত নির্মাণ আইন না মেনে সড়ক বিভাগ মহাসড়কের পাশ ঘেঁষে যেভাবে বাউন্ডারী দেয়াল নির্মাণ করছে তাতে ভবিষ্যতে মহাসড়কে যানজট বাড়বে। এছাড়া এ দেয়ালের কারণে পৌরসভার মাদার ড্রেন ও ফুটপাত নির্মাণ কাজ বাঁধাগ্রস্ত হবে। এ কারণে পটিয়া পৌরসভা কর্তৃপক্ষ এ দেয়াল নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলেও তাতে কর্নপাত করছেন না। এ কারণে গত বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাব্বির সানি ঘটনাস্থলে গিয়ে সড়ক বিভাগের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন।
পটিয়া পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদ জানান, সড়ক বিভাগ তাদের নবনির্মিত রেস্ট হাউসের পাশে নতুন করে বাউন্ডারি দেয়ার নির্মাণ কাজ শুরু করে। তাতে পটিয়া পৌরসভার ড্রেন দখল করে নেয়া হয়েছে। ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বিদেশী অর্থায়নে পুরনো ড্রেনের স্থলে একটি মাদার ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এর আগেই সড়ক বিভাগ আগের পুরনোর ড্রেন দখল করে বাউন্ডারি নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। এর ফলে মাদার ড্রেন নির্মাণ কাজ বাঁধাগ্রস্ত হবে। এর পাশাপাশি সড়ক সংকীর্ণ হয়ে পড়ায় মহাসড়কে পৌর এলাকায় যানজট বৃদ্ধি পাবে। পটিয়া পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, পটিয়া সদরের পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের পাশে অনুমতি না নিয়ে সওজ কর্তৃপক্ষ রেস্ট হাউস নির্মাণের কাজ শেষ করেছে। বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ হলে জনসাধারণ চলাচলে দুর্ভোগের শিকার হবেন। পটিয়া পৌর কর্তৃপক্ষ সড়ক ও জনপথ বিভাগকে এ বিষয়ে অবহিত করেও কাজ বন্ধ করতে পারেনি। ফলে উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাব্বির রাহমান সানি ঘটনাস্থলে গিয়ে সার্ভেয়ার দ্বারা পরিমাপ করে সওজের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। পটিয়া ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা জানান, মহা সড়কের পাশ ঘেঁষে সড়ক ও জনপথ যে বিভাগ রেস্ট হাউজের বাউন্ডরী ওয়াল নির্মাণ কাজ করছে তা রাস্তার সঙ্গে লাগানো।
এটি নির্মাণ হলে ড্রেনের পানি চলাচল যেমন বিঘিœত হবে তেমনি জনসাধারণ চলাচলেও দুর্ভোগ সৃষ্টি হবে। এসিল্যান্ড সরেজমিনে গিয়ে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে কথা বলতে উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোমিনকে ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন ধরেন নি। দোহাজারী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তোফায়েল মিয়ার ফোন বন্ধ পাওয়ায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয় নি।