পটিয়ায় ভাগ্নিকে অপহরণের দায়ে মামা গ্রেফতার

112

পটিয়ায় কিশোরী ভাগ্নিকে অপহরনের দায়ে গত বুধবার মোহাম্মদ রুবেল (২৮) নামের দুসম্পর্কীয় এক মামাকে গ্রেফতার করে পটিয়া থানা পুলিশ। রুবেল উপজেলার ছনহরা ইউনিয়নের আলমদারপাড়া গ্রামের আবদুল মালেকের পুত্র। ভাগ্নিকে উদ্ধারের ৩ দিন আগে স্কুলে যাওয়ার পথে অপহরণের ঘটনা ঘটে। ভাগ্নি উপজেলার খরনা ইউনিয়নের লালারখীল গ্রামের লোকমান হাকিমের কন্যা এবং ছনহরা ষোড়শীবালা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী। ভাগ্নিকে অপহরণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় ধর্ষণের অভিযোগ ছিলো না। তবে গত সোমবার পটিয়া থানার ওসি (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন জানান, আলামত ও কিশোরীর শাররীক পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া গেছে মামা কর্তৃক বিয়ের কথা বলে ভাগ্নিকে ধর্ষণ করা হয়েছে। পুলিশ জানান, ৭ বছর পূর্বে তানজিনার পিতা মারা যায়। এরপর থেকে কিশোরীর মা মনি আকতার একটি পোশাক কারখানায় চাকরী করেন। আর কিশোরী নানার বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করে। আটক হওয়া ধর্ষক মামা রুবেল কিশোরীর খালাত মামা। স্কুলের যাওয়ার পথে তানজিনাকে গত ৭ এপ্রিল বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে সে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ঘটনার পর পুলিশকে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানানো হয়। গত বুধবার রাতে মামা রুবেল ভাগ্নি তানজিনাকে নিয়ে বাড়িতে আসার সংবাদ পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় তাকে গ্রেফতার ও তানজিনাকে উদ্ধার করে। পটিয়া থানার ওসি (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন ফারুকী জানান, রুবেলের বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় একটি অপহরণ মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য চমেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে প্রেরণ করা হয়। তিনি জানান, ভাগ্নিকে মামা বিয়ে করেছে বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। অন্যদিকে ভাগ্নির বয়স মাত্র ১৬ বছর। বিয়ে আইনসিদ্ধ নয়। বিয়ের নামে ভাগ্নিকে ধর্ষণ করা হয়েছে। আসামির বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের আভিযোগে চার্জসিট প্রদান করা হবে।