পটিয়ায় বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১২

31

পটিয়া থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে বিএনপির আরও ১২ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন জসিম উদ্দিন (৪৫), মোহাম্মদ জাবেদ (২৫), জাহেদুল আলম (২০), জসিম উদ্দিন (৪৫), দিদারুল আলম (৩২), আকতার হোসেন (৪৪), মোহাম্মদ হোসেন (৩৫), দিদারুল আলম (৪০), নুরুল আলম (৫৮), মোহাম্মদ শাহেদ (৩০), মোহাম্মদ সাদেক (৩২) ও বিএনপির প্রার্থী এনামের ভাতিজা নাজমুল হক রিপন (৩৬)। গত মঙ্গলবার রাতে পুলিশ বিএনপির এসব নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে।
এদিকে একই রাতে জিরি ইউনিয়নে আ’লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী পাশার ঘরে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনায় মোহ্মহাম্মদ আলী বাদী হয়ে পটিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তাতে অজ্ঞাতনামা বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা হামলা চালায় বলে উল্লেখ করা হয়।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের শ্রিমাই ব্রিজ এলাকায় বিএনপির প্রার্থীর সমর্থকরা বিশৃঙ্খলার করে। এ সময় তারা ছাত্রলীগের দু’টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১২ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদেরকে বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মোহাম্মদ আলী পাশা জানান, দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরীর সমর্থনে এলাকায় গণসংযোগসহ বিভিন্ন সভা সমাবেশ করে যাচ্ছি। জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাসীরা নৌকার পক্ষে কাজ করায় আমার উপর ক্ষুব্ধ হয়েছে। এই ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে মঙ্গলবার রাতে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা রাত তিনটার দিকে আমার ঘরে ভাঙচুর করে।
এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পটিয়া উপজেলা আ’লীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম টিপু, জিরি ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আবদুল্লাহ হারুন, সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলী, ৫নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মনছুর আলম, আ’লীগ নেমা জহুরুল আলম মন্টু, জেলা কৃষক লীগ নেতা হাজী মনজু মিয়া, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সদস্য মো. আরিফুর রহমান, ইউপি মেম্বার মো. হাসান, জিরি ইউপি যুবলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন সোহেল, ছাত্রলীগের সভাপতি শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. এরশাদ। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দোষীদের শাস্তির দাবি জানান।
এব্যাপারে পটিয়া থানার উপ-পরিদর্শক কামাল হোসেন জানিয়েছেন, গণসংযোগের নামে বিএনপির নেতা-কর্মীরা নাশকতার পরিকল্পপনা করছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত থাকবে।