পটিয়ায় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

124

পটিয়ায় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির লিখিত অভিযোগ করেছেন উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ রহিম। এক শ্রেণির শিক্ষক নেতার মধ্যস্থতায় টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন উপজেলা থেকে শিক্ষকদের পটিয়ায় পছন্দনীয় স্থানে পোস্টিং দিয়ে কোটা নষ্টসহ নানা অভিযোগ আনা হয় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। তাতে উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক ও চাপড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি এম এ রহিমের পরিচালনাধীন স্কুলের প্রধান শিক্ষককে এক বছরের মাথায় টাকার বিনিময়ে অন্যত্র বদলী করার অভিযোগও করা হয় তার বিরুদ্ধে। অনিয়মের বিরুদ্ধে এম এ রহিম গত ৭ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশন, পটিয়ার এমপি ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এদিকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শিক্ষা অফিসার পটিয়ার চাকরির কোটা নষ্ট করে অন্য জেলা হতে সাঁইত্রিশ জন শিক্ষক নিয়ে এসে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন লোভনীয় স্কুলে পোস্টিং দিয়েছেন। তিনি দীর্ঘ নয় বছর ধরে পটিয়া উপজেলায় দাপটের সাথে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৮ সালের পূর্বে চাপড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েক বছর প্রধান শিক্ষক ছিলো না। ২০১৮ সনের ২৫ মার্চ জয় চ্যাটার্জিকে প্রধান শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়। এক বছর না যেতে যেতেই তাকে অন্য উপজেলায় বদলি করা হয়। তার বদলির ব্যাপারে চাপড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে এম এ রহিম কিছুই জানেন না।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোতাহের বিল্লাহ জানান, কোন স্কুলের শিক্ষককে বদলি করার বিষয়ে পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে জানানোর বিধান নেই। ওই শিক্ষক সুবিধাজনক স্থানের বদলির জন্য আবেদন করায় নিয়মের মধ্যে থেকেই তাকে বদলি করা হয়েছে। রাত পর্যন্ত শিক্ষক নেতাদের নিয়ে অফিস ও তাতে বিভিন্ন দেন দরবার ও সেখান থেকে বাণিজ্যের বিষয়ে তিনি বলেন, তার দপ্তরে কোন ধরণের বাণিজ্য হয় না। অভিযোগ ভিত্তিহীন।