পটিয়ায় ছুরিকাঘাতে লেগুনা চালক খুন

19

পটিয়ায় ছুরিকাঘাতে মোহাম্মদ গফুর (৪৫) নামের এক গাড়ি চালককে খুন করে ফেলে গেছে দুবৃর্ত্তরা। বুধবার রাতে তাকে খুন করার পর গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পটিয়া থানা পুলিশ রক্তাক্ত অবস্থায় আল জামেয়া ইসলামিয়া জমিরিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন কাট্টল্যাপাড়া রেল লাইনের পাশ থেকে লাশ উদ্ধার করেছে। তবে পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এদিকে খুনির শাস্তির দাবিতে গাড়িচালক সমিতি পটিয়া শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে। নিহত গাড়িচালক পটিয়া পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের বাহুলী এলাকার বাসিন্দা। ট্রাফিক পুলিশের টিআইকে দিয়ে গাড়ি ধরিয়ে দেয়া ও ছাড়িয়ে নেয়াকে কেন্দ্র করে ওই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে কেউ কেউ ধারণা করছেন।
জানা গেছে, কয়েক দিন আগে লাইনম্যান বাপ্পীর মৌখিক অভিযোগে পটিয়া ট্রাফিক বিভাগের টিআই বশির নিহত গাড়িচালকের লেগুনা আটক করে। ব্যক্তিগত বিরোধে টিআইকে ব্যবহার করা নিয়ে দু’জনের মধ্যে বিবাদ প্রকাশ্যে আসে। পরে গফুর গাড়ি ছাড়িয়ে নিলে উপায় না দেখে লাইনম্যান বাপ্পী গফুরকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। তবে খুনের ঘটনায় লাইনম্যান বাপ্পী আদৌ জড়িত কিনা এখনো জানা যায়নি। তবে পুলিশ বলেছে মামলার তথ্য জানতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় সময় গাড়ি নিয়ে গভীর রাতে গফুর বাড়ি ফিরতেন। সর্বশেষ গত বুধবার বাড়ি ফেরার পথে পটিয়া রেল স্টেশন এলাকার একটি চায়ের দোকানে সে চা খেতে যান। এরপর সকালে কাট্টল্যাপাড়া এলাকায় গাড়িচালকের লাশ রাস্তার পাশে পড়ে থাকে। পরে এলাকার লোকজন পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন।
পটিয়া ট্রাফিকের টিআই মোহাম্মদ বশির জানিয়েছেন, লাইনম্যান বাপ্পীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে গাড়িচালক গফুরসহ তিনটি গাড়ি আটক করা হয়। তাদের যত্রতত্র পার্কিংয়ের কারণে যানজট সৃষ্টি করছে। লাইনম্যান বাপ্পীর সাথে গফুরের আর কি হয়েছে তা আমি জানি না।
পটিয়া থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আবদুল খালেদ জানিয়েছেন, গাড়িচালক গফুরকে ধারালো ছুরি দিয়ে খুন করা হয়েছে। বুকে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।