পটিয়ায় গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু

40

পুত্রের জন্য পাত্রী দেখতে গিয়ে স্বামীকে দেবর পরিচয় দেন স্ত্রী। বিষয়টি নিয়ে গত সোমবার রাতে স্ত্রী রোকেয়া বেগমকে (৪৫) মারধর করেন স্বামী আবদুল হামিদ। এরপরই স্ত্রী অজ্ঞান হয়ে যান। এক পর্যায়ে নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে থাকলে প্রথমে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক ডা. বাদল কান্তি বড়ুয়া ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান স্ত্রী রোকেয়া বেগম। মারধরের ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে গতকাল বুধবার স্ত্রীকে দাফন করার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। পটিয়ার জিরি ইউনিয়নের সাইদার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সাইদার গ্রামের মেম্বার আবুল হাশেম জানান, ছেলের জন্য পাত্রী দেখতে গিয়ে স্বামীকে দেবর পরিচয় দেওয়ায় মূলত স্ত্রীকে মারধর করেছে স্বামী। ঘটনার পর প্রথমে পল্লী চিকিৎসক ও পরে চমেক হাসপাতালে নিলে সেখানে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কিন্তু কি কারণে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করা হয়েছে তা তিনি জানেন না। ঘটনার পর স্থানীয় এক ব্যাংকার পটিয়া থানা পুলিশকে ঘটনা অবহিত করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, স্বামীকে দেবর পরিচয় দেয়াকে কেন্দ্র করে ওই ঘটনা ঘটেছে। প্রবাসীর স্ত্রীর বাপের বাড়ি নগরীর অক্সিজেনের বড়দীঘি পাড় এলাকায়।
পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিন জানান, প্রবাসীর স্ত্রীকে পিটিয়ে মারা সংক্রান্তে তাদের কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। তারপরও বিষয়টি দেখবেন।