পটিয়ার ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়ম

40

পটিয়ার ছনহরায় ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয়রা। বিষয়টি নজরে এলে ভিজিএফ চাল বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার ছনহরা ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে এ চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়।
ঈদের আগেই এসব চাল বিতরণের কথা ছিলো। কিন্তু সে সময় এ কর্যক্রম অজ্ঞাত কারণে বন্ধ রাখা হয়। গতকাল চাল বিতরণের সময় একটি পরিবারের একাধিক সদস্য এবং আর্থিক অবস্থা সম্পন্ন ব্যক্তিদের চাল নিতে দেখা যায়। এ কারণে বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ভিজিএফের নামের তালিকায় দরিদ্রদের সমন্বয় না করে আর্থিক অবস্থা ভাল এমন লোকদেরকে অর্ন্তভুক্ত করা হয়। এ কারণে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। লোকজন উত্তেজিত হয়ে পড়লে চাল বিতরণের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গত ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রনালয় থেকে পটিয়া উপজেলার ১৭ ইউনিয়নের জন্য চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। ঈদের আগে উপজেলার প্রায় সব ইউনিয়নে চাল বিতরণ হলেও ছনহরা ইউনিয়নে চাল বিতরণ করা হয়নি। মূলত নামের তালিকা সমন্বয় করার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু তালিকা সমন্বয় না করে একই পরিবারে একাধিক কার্ড প্রদান করা হয়।
চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ দৌলতী বলেন, হুইপের উন্নয়ন সমন্বয়কারীর সঙ্গে সমন্বয় করেই নামের তালিকা তৈরি করেছেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে বাধা দেওয়া হচ্ছে। ঈদের আগে গরীব লোকের এসব চাল বিতরণ করার কথা থাকলেও কিছু লোকের কারণে তা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় লোকজন চাল না পেয়ে উত্তেজিত হয়ে বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ গিয়ে চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের সরিয়ে নেয়।
এই বিষয়ে পটিয়ার এমপি সামশুল হক চৌধুরীর উন্নয়ন সমন্বয়কারী আলমগীর খালেদ বলেন, চাল বিতরণে কিছু অনিয়মের অভিযোগ উঠায় চাল বিতরণ কার্যক্রম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বন্ধ করে দিয়েছে। আগামী রবিবার তালিকা যাচাই বাছাই শেষে ইউএনও’র উপস্থিতিতে এসব চাল বিতরণ করা হবে।
পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান জানিয়েছেন, ঈদের আগেই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ভিজিএফ চাল বিতরণ করেছেন। নামের তালিকা সমন্বয় না করায় স্থানীয় লোকজনের ক্ষোভের কারণে চাল বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। নামের তালিকা সমন্বয় করা হলে পুনরায় চাল বিতরণ করা হবে।