পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে প্রধান শিক্ষকের যৌন হয়রানি

62

ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানাধীন বাগানবাজার ইউনিয়নের চিকনের খীল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খোকন চন্দ্র মজুমদারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে বলে জানা গেছে। কয়েকদিন আগে এই ঘটনা ঘটলেও গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন।
একটি ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। এতে স্থানীয় অভিভাবক ও সচেতন মহলের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। দুই বছর আগে অভিযুক্ত খোকন চন্দ্র মজুমদারকে গজারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ছাত্রী যৌন হয়রানি অভিযোগে বর্তমান কর্মস্থলে বদলি করা হয়েছিল বলে জানা গেছে। গত ২০১৭ সালের ১৮ এপ্রিল তিনি চিকনের খীল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন।
অভিযোগের বিষয়ে খোকন চন্দ্র মজুমদারের ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে অভিভাবক ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই প্রধান শিক্ষক এর আগেও বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের সাথে যৌন হয়রানি করেছিল। তথ্য প্রমাণ না থাকায় সে সুযোগে বারবার তিনি পার পেয়ে যেতেন। এখন ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে ওই শিক্ষকের অপকর্ম প্রকাশ পায়। এতে এলাকাবাসী ও বিদ্যালয়ের অভিভাবকেরা উক্ত শিক্ষকের কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
বিদ্যালয় পরিচলনা পরিষদের সভাপতি মো. মনির হোসেন বলেন, বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। আমরা উক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করছি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাসানুল কবির বলেন, যৌন নিপীড়নের ভিডিও চিত্রটি দেখেছি। ভিডিও ফুটেজ দেখে মনে হয়েছে এটা যৌন নিপীড়ন। আগামী রোববার বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকার জন্য ওই শিক্ষককে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তের পর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মুশফিকুর রহমান বলেন, ওই শিক্ষকের অপরাধ খুবই স্পর্শকাতর। তদন্তের পর তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভূজপুরে আগুনে
পুড়েছে গুদাম
ও ৩ দোকান
ফটিকছড়ি প্রতিনিধি
ফটিকছড়ির ভূজপুরে মির্জারহাট বাজারে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩টি দোকান ঘর ও ১টি গুদাম পুড়ে গেছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে বাজারের একটি লাকড়ির দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে জানা গেছে। এতে আনুমানিক ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর একটার দিকে বাজারের একটি লাকড়ির দোকানে আগুন জ্বলতে দেখেন বাজারের লোকজন। এ সময় তারা ছুটে এসে নেভানোর চেষ্টা করেন। ততক্ষণে বাজারের বাবলা দের ফার্নিচারের দোকান, ইউসুফ মাঝি ও জাহাঙ্গীরের লাকড়ির দোকান এবং শাহ আলমের ধানের গুদাম সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
উপজেলা ফায়ার স্টেশন কর্মকর্তা পুলক কান্তি সরকার বলেন, খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি।
নারায়ণহাট ইউপি চেয়াম্যান মুহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের সাধ্যমত সহযোগিতা দিয়েছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। অগ্নিকান্ডে আনুমানিক ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।