নেশা জাতীয় দ্রব্য পান করে গাড়ি চালালেই জানাবে সতর্কবার্তা

50

কাপ্তাইয়ের বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী স্কুল এন্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র মীর শাহরিয়া ইসলাম সাকিব নামের ক্ষুদে বিজ্ঞানী অ্যালকোহল ডিটেক্টর এন্ড অটোসি-সিকোরেটি নামক একটি যন্ত্র উদ্ভাবন করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়ে জেলা পর্যায়ে পুরস্কার ছিনিয়ে এনেছে। ক্ষুদে বিজ্ঞানির তৈরিকৃত এ যন্ত্রটি এয়ার পোর্ট, হাসপাতাল, যাত্রীবাহি গাড়ি, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারখানা, অফিসসহ গুরুত্বপূর্ণ যেকোন স্থানে স্থাপন করা হলে কেউ যদি অ্যালকোহল বা নেশা জাতীয় দ্রবাদি পান করে বা বহন করে তাহলে যন্ত্রটি আগাম বার্তা দিয়ে সর্তক করে দিবে। এসর্তক বার্তার কারণে সহজে বহনকারিকে শনাক্ত করা যাবে। এবং বড় ধরনের বিপদ এড়ানো যাবে। এ যন্ত্রটির একটি প্রসেসর, সেন্সর ও একটি ডিসপে�বাজানো (স্পিকার) রয়েছে। যখন এযন্ত্রটির আয়ত্বের ভেতর কেউ অ্যালকোহল জাতীয় দ্রব্য পান করে প্রবেশ করবে তখনই এ সেন্সরটি তা সহজে শনাক্ত করে বেজে উঠবে। এর পরপরই প্রসেসরের মাধ্যমে তথ্য গুলো এনালাইস করে ডিসপ্লেতে প্রদর্শন করবে। যদি যন্ত্রটি গাড়ি বা যেকোন যানচলাচলের সাথে ব্যবহার করা হয় তখন কোন চালক নেশা বা মদ্য পান করে গাড়ি চালালে দ্রæত সেন্সরটি বেজে উঠে সকলকে সর্তক করে দিবে। অ্যালকোহল ব্যবহার করে গাড়ি চালানোর ফলে নিত্যদিন যেসব মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে সেগুলো হতে প্রাণে রক্ষা পাওয়া যাবে। এদিকে, ক্ষুদ্রে বিজ্ঞানি মীর শাহরিয়া ইসলাম সাকিব জানান, এ যন্ত্রটি তৈরি করতে আমার ২ হাজার পাঁচশত টাকা খরচ হয়েছে। আমার তিন বন্ধু রায়হান, ইমরান ও সাইফ একাজে আমাকে সহযোগিতা করেছে। বর্তমানে দেশের মধ্যে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটে চলছে। এসব ব্যবহারের ফলে অনেক স্কুল, কলেজ শিক্ষার্থীসহ বহু মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। অতিগুরুত্বপূর্ণ এসব বিষয় চিন্তা করে এটি তৈরি করেছি। এছাড়া প্রতিনিয়ত বখাটেরা নেশা করে স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের ইভটিজিং করছে। যন্ত্রটি এক্ষেত্রেও ব্যবহার করে বখাটেদের চিহ্নিত করে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। সাকিব তার নিজস্ব উদ্ভাবনী আবিস্কার করে কাপ্তাই উপজেলা পর্যায়ে ও রাঙ্গামাটি জেলা পর্যায়ে বিজ্ঞান মেলায় দ্বিতীয় পুরস্কার অর্জন করেছে। ক্ষুদে বিজ্ঞানীর ইচ্ছে এসব কর্মসূচি নিয়ে কাজ করা এবং বড় হয়ে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হওয়া। তার বাবা একজন বনপ্রহরী রফিকুল ইসলাম মীর সেও চায় তার ছেলে একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হোক। আর মা গৃহিনী শারমিন আক্তার চায় ছেলে বড় হয়ে ডাক্তার হবে। প্রতিদিন অনেক লোক ও বন্ধুরা এ ক্ষুদে বিজ্ঞানির আবিস্কারটি দেখতে আসে। এদিকে স্কুলের শিক্ষকরাও সাকিবের এ অবিস্কার দেখে অনেক খুশি।