নুর আহমদ উচ্চ বিদ্যালয় নানা সমস্যায় জর্জরিত

104

সীমানা প্রাচীর নেই, মাঠের অবস্থা অত্যান্ত নাজুক। রয়েছে একাডেমিক ভবনের স্বল্পতা। একটি শহীদ মিনারও নেই। সবচে বড় সমস্যা শিক্ষকদের বেতন। নামমাত্র বেতনে দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে শিক্ষকমÐলী দ্বারা পাঠদান করানো হচ্ছে। বিদ্যালয়ের এমপিও নেই। তবে এরপরও বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান বেশ সন্তুষজনক। বলছি নুর আহমদ ইঞ্জিনিয়ার মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের কথা। এটি ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট পৌরসভার দৌলতপুর এলাকায় অবস্থিত। ২০০৩ সালে আলহাজ সরওয়ার আলমগীর তার ক্রয়কৃত জায়গায় তার বাবার নামে নুর আহমদ ইঞ্জিনিয়ার মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে শিক্ষা ভবন নির্মাণ করেন এবং শিক্ষকদের নিয়মিত বেতনসহ ভবনের কাজে তিনি আর্থিক সহযোগিতা করে আসছেন। তারপরও প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই নানাবিধ সমস্যার মধ্যদিয়ে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। এলাকার অন্যানো শিক্ষা পিপাসু মানুষদের সার্বিক সহযোগিতায় এ বিদ্যালয়ের কার্যক্রম অব্যাহত থাকলেও বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত করণ করা অত্যান্ত জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিদ্যালয়ের পাঠদানে ১৩ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োজিত রয়েছেন। বিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থী ২৫৪ জন। মনোরম পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টির সমস্যার অন্ত নেই। বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা পরিষদ সদস্য নজরুল ইসলাম, দিদারুল আলম, ডা. সেলিম উদ্দিন, আলী আজম সাদেক, নাছির উদ্দিন জানান, বিদ্যালয়ের অবকঠামোগত বেশ সমস্যা রয়েছে। এসব সমস্যা নিরসনে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের সুদৃষ্টি কামনা করছি। বিদ্যালয় উন্নয়ন কমিটির সদস্য ডা. রফিক মুহাম্মদ, আনোয়ার হোসেন আজম ও জিয়াউল হক মুহাম্মদ দস্তগীর জানান, বর্তমান পরিচালনা পরিষদের দক্ষ নেতৃত্বে বিদ্যালয়ের দৃশ্যমান উন্নয়ন হলেও সরকারীভাবে এমপিওভুক্ত, শহীদ মিনার নির্মাণ ও সীমানা প্রাচীর করা জরুরি। প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ শাহ আলম জানান, জেএসসি, এসএসসি পরীক্ষায় আমাদের বিদ্যালয়ের পাশের হার সন্তুষজনক। তবে, শিক্ষকরা নামমাত্র বেতনে পাঠদান করতে হচ্ছে। যদি অতিদ্রæত বিদ্যালয়কে এমপিওভুক্ত করণ করা হয় তাহলে শিক্ষকদের মানবেতর জীবন-যাপন করতে হবে না। বিদ্যালয়ের সভাপতি ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য আখতার উদ্দিন মাহমুদ পারভেজ বলেন, বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা সরওয়ার আলমগীর পরিবার এবং পরিচালনা পরিষদের সদস্যদের আর্থিক সহযোগীতায় বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। সরকারের নানামুখী সৃজনশীল কর্মকাÐ দেশব্যাপাী চলছে, এরই অংশ হিসেবে এ বিদ্যালয়কে এমপিও ভুক্ত করে এলাকাকে সুশিক্ষার আলোয় আলোকিত করবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।