নিহত ২৬, আহত ৩০

26

আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির নির্বাচনি সভার কাছে বোমা হামলায় ২৬ জন নিহত ও ৩০ জন আহত হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে হামলায় ঘানি কোনও আঘাত পাননি। তিনি নিরাপদে আছেন। মঙ্গলবার পারওয়ান প্রদেশের রাজধানী চারিকরে এই হামলার ঘটনায় তালেবান দায় স্বীকার করে। এদিকে সভাস্থলে হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মঙ্গলবার কাবুলের গ্রিন জোনে আরেকটি বিস্ফোরণ হয়েছে। তবে সেখানে কেউ হতাহত হয়েছে কিনা, তা জানা যায়নি। এক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন হামলাটি ছিল ‘আত্মঘাতী’। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। দ্বিতীয় পাঁচ বছর মেয়াদের জন্য এ নির্বাচনেও প্রার্থী হচ্ছেন ঘানি। নির্বাচনকে সামনে রেখে এক সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। রয়টার্স জানিয়েছে, ঘানি যখন ভাষণ দিতে যাচ্ছিলেন ঠিক সেই সময় বিস্ফোরণটি ঘটানো হয়। প্রেসিডেন্টের এক সহযোগীকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মঙ্গলবার কাবুলের উত্তরে পারওয়ান প্রদেশের রাজধানী চারিকরের এ ঘটনায় ঘানি আঘাত পাননি। তালেবান আসন্ন নির্বাচন বয়কটের ডাক দিয়েছে।
ভোটাররা যেন ভোটকেন্দ্রমুখী না হয় তার জন্য আফগানিস্তানের ও বিদেশি বাহিনীগুলোর সঙ্গে লড়াই তীব্র করে তোলার শপথ নিয়েছেন তালেবান কমান্ডাররা। নির্বাচনি সভা-সমাবেশ ও কেন্দ্রগুলোতে হামলার হুমকি দিয়েছে তারা। এরপর থেকে সারা দেশজুড়ে নির্বাচনি সমাবেশগুলোকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তার মধ্যেই খোদ প্রেসিডেন্টের সমাবেশে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হলো। “নিহতদের অধিকাংশই বেসামরিক বলে মনে হচ্ছে। এদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সগুলো ছোটাছুটি করছে। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে,” বলেছেন পারওয়ানের প্রাদেশিক হাসপাতালের প্রধান আব্দুল কাসিম সানগিন।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পৃথক আরেকটি ঘটনায় কাবুলের কেন্দ্রস্থলে এক বিস্ফোরণে অন্তত ছয় জন নিহত হয়েছেন। অ্যাম্বুলেন্স ও আফগানিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।