নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে ইউরোপ আমেরিকাকে আহবান এমারসনের

28

জিম্বাবুয়ের ওপর আরোপিত ইউরোপ ও আমেরিকার নিষেধাজ্ঞাকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাহার করে নেওয়ার আহŸান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট এমারসন মানগাগওয়া। জিম্বাবুয়ের অর্থনৈতিক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে তার নেওয়ার পদক্ষেপের ওপর আস্থা রাখার আহŸানও জানান তিনি। মানগাগওয়া বলেন, নিষেধাজ্ঞার কারণে বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার গতি ধীর হয়ে যাচ্ছে। বুধবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ভাষণে এসব কথা বলেন জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট।
১৯৮০ সালে স্বাধীনতা লাভের পর জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন রবার্ট মুগাবে। চার দশক ধরে ক্ষমতায় থাকার পর ২০১৭ সালের নভেম্বরে এক সেনা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন। জিম্বাবুয়ের ক্ষমতাসীন দল জানু-পিএফ এর দলীয় প্রধানের পদ থেকেও তাকে বরখাস্ত করা হয়। মুগাবের স্থলাভিষিক্ত হন সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন এমনানগাগওয়া। অভ্যুত্থানের দুই সপ্তাহ আগে ভাইস প্রেসিডেন্টের পদ থেকে তাকে বরখাস্ত করেছিলেন মুগাবে। চলতি মাসে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। বর্তমান প্রেসিডেন্ট মানগাগওয়ার বিরুদ্ধেও রয়েছে বিরোধীদের ওপর নিপীড়নের অভিযোগ। তবে বুধবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ভাষণে নিপীড়নের অভিযোগের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি মানগাগওয়া।
অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংস্কার নিয়ে বিতর্কের জন্য সব দলের সমন্বয়ে একটি উন্মুক্ত প্লাটফর্ম গঠন করা হচ্ছে বলে জানান মানগাগওয়া। জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট বলেন, আমেরিকা ও ইউরোপের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রক্রিয়াকে ধীর করে দিচ্ছে আর এতে শাস্তি পাচ্ছে দেশটির দরিদ্রতম মানুষ। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্ববাসীকে ধৈর্য্য নিয়ে আমাদের সমর্থন দেওয়ার আহŸান জানাচ্ছি আর চলুন নতুন এক উদ্দিপনাময় যাত্রায় আমরা সবাই শামিল হই’। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের জেরে প্রায় দুই দশক আগে জিম্বাবুয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ। গত মাসে জিম্বাবুয়ের সাবেক এক জেনারেলের ওপরও নতুন করে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র।