নির্মল বিনোদনের খোঁজে মানুষের ঢল পর্যটন স্পটে

44

বৃষ্টি দিয়েই শুরু হয়েছিল ঈদের সকাল। তবে দুপুর থেকেই আকাশের মুখ ছিলো হাস্যোজ্জল। আকাশের এই হাস্যোজ্জলতায় বিনোদনপ্রেমীরা ছেড়েছে ঘর। নগরীর প্রতিটি বিনোদন কেন্দ্রে পড়ে যায় দশনার্থীদের ভিড়। ঈদের বাড়তি বিনোদনের আশায় অনেকেই প্রিয়জনদের নিয়ে ঘুরতে এসেছিলেন বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে।
ঈদের ছুটিতে নগরীর বিনোদনকেন্দ্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিড় ছিলো ফয়’স লেক অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, আগ্রাবাদ ও কাজির দেউড়ি শিশু পার্ক, স্বাধীনতা কমপ্লেক্স, নতুন ব্রিজ, অভয়মিত্র ঘাট, ভাটিয়ারি, পারকি সমুদ্র সৈকত, আগ্রাবাদ জাম্বুরি মাঠ পার্কসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র।
নগরীর ফয়’স লেক সি-ওয়ার্ল্ডে নানান রাইডে মাতোয়ারা দর্শনার্থীরা। পানিতেই মেতেছেন সবাই। সি-ওয়ার্ল্ডের পানির রাজ্যে নানাভাবে উপভোগ করছেন সবাই। আবার অনেকে নৌকা ভ্রমণ, সার্কাস সুইং, বাম্পার কার, বাম্পার বোট, ফ্যামিলি রোলার কোস্টার, জায়ান্ট ফেরিস হুইল প্যাডেল বোট, পাইরেট শিপের মতো মজাদার সব রাইডে চলে আনন্দে মেতে উঠেছেন। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই মেতেছেন এসব রাইডে। বয়স ভুলে সবাই আনন্দ খুজে নিয়েছে সি ওয়ার্ল্ডে।
সি-ওয়ার্ল্ডে বেড়াতে আসা ব্যাংক কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেন বলেন, পরিবার নিয়ে ঈদের ছুটিতে বেড়াতে এসেছি। এমনিতে কাজের চাপে পরিবারকে তেমন সময় দেওয়া হয় না। ঈদের ছুটি কাজে লাগাতে পুরো পরিবারকে সাথে নিয়ে সি-ওয়ার্ল্ডে আসা। সবাই মিলে দারুণ উপভোগ করলাম।
ফয়’স লেক এমিউজমেন্ট পার্কের উপ-ব্যবস্থাপক (বিপণন) বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, আমাদের সবচেয়ে বেশি দর্শনার্থী আসে সি-ওয়ার্ল্ডে। বৃহস্পতিবার পাঁচ হাজারের বেশি দশনার্থী ছিলো। শুক্রবার সে সংখ্যাটা ৬ হাজারের কাছাকাছি ছিলো।
তিনি বলেন, দর্শনার্থীদের পছন্দের ক্ষেত্রে প্রথম হলো সি-ওয়ার্ল্ড। সি-ওয়ার্ল্ডের নানান রাইড দারুন উপভোগ করেন সবাই। তাছাড়া আমাদের নিয়মিত সবগুলো রাইডেই দর্শনার্থীরা ভালোভাবে উপভোগ করেন।
এদিকে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ছিলো প্রচুর দর্শনার্থীর সমাগম। বানর, ভাল্লুক, বাঘ, সিংহ, হাতি, জিরাফ, জেব্রা, হরিণ, উটসহ বেশ কয়েকটি সেডের সামনে ভিড় দেখা।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ডা. শাহাদাৎ হোসেন শুভ জানান, বৃহস্পতিবার প্রায় ১৭ হাজার দর্শনার্থী চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ঘুরতে আসেন। অ্যাভিয়ারি পার্ক, বাঘ-সিংহ, জেব্রা, উট পাখি, ইমু পাখিসহ নানা প্রজাতির পশু-পাখি দেখে আনন্দে সময় কাটান তারা।
বিনোদন কেন্দ্র না হলেও নতুন ব্রিজ (শাহ আমানত সেতু) এলাকায় প্রচুর লোক সমাগম ছিলো ঈদের প্রতিটি দিন। বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত কয়েক হাজার লোক সমাগম এ এলাকায়। সেতুর পাশ হয়ে পায়ে হেটে সাগরের সৌন্দর্য উপভোগ করেন সবাই।
নতুন ব্রিজে ঘুরতে আসা চৌধুরী মোহাম্মদ রাসেল বলেন, শহরে বেড়াতে যাওয়ার মতো জায়গা তেমন নেই। নতুন ব্রিজে আসলে প্রকৃতিক একটা পরিবেশ খুঁজে পায়। তাই সুযোগ হলেই এখানে চলে আসি। ঈদের ছুটিতে বন্ধুরা মিলে আসলাম। প্রাকৃতিকে অনেক উপভোগ করলাম।