নির্বাচিত হলে চট্টগ্রামকে পর্যটন নগর হিসেবে গড়ে তুলব

69

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ও নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, নির্বাচন কমিশন এখন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে না। সরকার, প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন মিলে একাকার হয়ে গেছে। রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রতিটি অঙ্গ এখন আওয়ামী যন্ত্রে রূপান্তরিত হয়েছে। এখন নৌকার প্রতীক মানেই সাত খুন মাপ। এখন নৌকার প্রতীক মানেই লালদীঘিতে সমাবেশ করার সুযোগ। এখন নৌকার প্রতীক মানেই রেল স্টেশনে সমাবেশ। এখন নৌকার প্রতীক মানেই ভোট ডাকাতি। আমরা বলতে চাই, এ সমস্ত অপকর্ম থেকে সরকার ও ইসিকে বের হয়ে আসতে হবে। অন্যথায় জনগণ আর ভোটকেন্দ্রমুখি হবে না।
গতকাল বুধবার বিকালে নাসিমনভবনস্থ দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে নগর বিএনপি আয়োজিত শুভেচ্ছা ও বরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
দলীয় মেয়র প্রার্থী মনোনীত হওয়ায় ডা. শাহাদাতকে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে সংবর্ধনা দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিল বিএনপি। প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় নগর বিএনপি কার্যালয়ে এ শুভেচ্ছা ও বরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্য এবং বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। বিএনপি গণতন্ত্রের শেষ মাধ্যম
ভোটের অধিকারকে রক্ষার জন্য আন্দোলন করছে। চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ নির্বাচন ও ঢাকা সিটি নির্বাচনে জনগণ ভোট কেন্দ্র বিমুখ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী রেলস্টেশনে সমাবেশ করেছে, স্লোগান দেয়া হয়েছে। অথচ আমাদেরকে পুরাতন রেলস্টেশন চত্বরে যাওয়ারও সুযোগ দেয়া হয়নি। প্রশাসনের ভাইদের বলতে চাই, আপনারা বিএনপির প্রতি বিমাতাসূলভ আচরণ করে একপক্ষীয় যে চিন্তা করছেন, সেখানে আপনারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। চট্টগ্রামবাসী এই হীন ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দেবে।
তিনি বলেন, মেয়র নির্বাচিত হলে চট্টগ্রাম নগরীকে ঢেলে সাজানো হবে। চট্টগ্রামকে জলাবদ্ধতামুক্ত, পরিচ্ছন্ন, হেলদি সিটি, গ্রীনসিটি ও পর্যটন নগরীতে পরিণত করার জন্য আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে। আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে চট্টগ্রামকে বিশ্বের অন্যতম নগরীতে পরিণত করবো। জনবান্ধব সাম্যের শহর হিসেবে গড়ে তুলবো। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনকে বেগবান করা হবে।
মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচন ও ঢাকা সিটি নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটচুরির যে মহোৎসব দেখেছে, তাতে ভোটাররা আতঙ্কিত। চসিক নির্বাচনের শুরুতেই প্রশাসন ও ইসি বিএনপির প্রতি নেতিবাচক আচরণ শুরু করেছে। আমাদেরকে সমাবেশ করতে বাঁধা দেয়া হচ্ছে। তাই সবাইকে নিজের আরামকে হারাম করে ডা. শাহাদাত হোসেনকে জয়ী করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, ডা. শাহাদাত হোসেন চট্টগ্রামবাসীর আশা-ভরসার প্রতীক। চট্টগ্রামের মাটি বিএনপির ঘাঁটি। চট্টগ্রামবাসী ঝড়-বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে আজকে যেভাবে সমাবেশকে সফল করেছে ভোটের দিনও কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ডা. শাহাদাত হোসেনকে জয়ী করতে হবে। মেয়র ও কাউন্সিলরদের বিজয় ছিনিয়ে আনতে এখন থেকেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে।
মহানগর বিএপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটন ও সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলামের যৌথ পরিচালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বেগম রোজী কবীর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা একরামুল করিম, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মো. হেলাল উদ্দিন, বিএনপি নেতা এমএ হালিম, এমএ আজিজ, চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন, অধ্যাপক শেখ মহিউদ্দিন, ইদ্রিস মিয়া চেয়ারম্যান, এনামুল হক এনাম, আলী আব্বাস, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, সামশুল আলম, হাজী মোহাম্মদ আলী, নাজিমুর রহমান, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, ইকবাল চৌধুরী, এসএম সাইফুল আলম, নুরুল আমিন, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, কাজী বেলাল, শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আবদুল মান্নান, আহমেদুল আলম রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, কাউন্সিলর আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, শাহেদ বক্স, সামশুল হক, মনজুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, শিহাব উদ্দিন মুবিন প্রমুখ।