নির্বাচন ২০১৮ আওয়ামী লীগের সাফল্য

59

গত ৮ নভেম্বর ২০১৮ জাতীয় নির্বাচনের দিনক্ষণ ধার্য করা হয় ২৩ ডিসেম্বর। জাতিয় উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ভাষণের ভোটের এ তফসীল ঘোষিত হয়। সংবিধানের ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারি মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা আছে। তফসীল ঘোষণাতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আনন্দ মিছিল ও উল্লাস প্রকাশ করে তফসীল ঘোষণাকে স্বাগত জানান। পক্ষান্তরে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন ১ মাস পেছানোর দাবি ও বেগম জিয়ার মুক্তির শর্তসাপেক্ষে নির্বাচনে অংশ গ্রহণের সম্মতি জ্ঞাপন করেন।
নির্বাচন এর পাশাপাশি বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট এবং ঐক্যফ্রন্টের আহব্বান ছিলো ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের ধারা অব্যাহত রাখা। বেগম জিয়াকে মুক্তি না দিলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া সম্ভব নয় বলে আগাম জানান দেন। তাদের দাবির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ২৩ ডিসেম্বর এর পরিবর্তে ৩০ ডিসেম্বর দিনক্ষণ ধার্য করেন। গত ৯/১১/২০১৮তে পত্রিকার একটা সংবাদ শিরোনাম ছিলো ‘কোন কথাই বলেন নি ইসি, মাহবুব তালুকদার। বিশেষ সূত্রে জানা যায় তড়িঘড়ি করে নির্বাচন করা এবং অনেক বিষয় অমীমাংসিত। তাই তিনি একটু নাখোশ ৩০ ডিসেম্বর তফসীল ঘোষণার ব্যাপারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পত্রিকার মাধ্যমে তার যুক্তি উপস্থাপন করেছিলেন। তবে বেগম জিয়ার মুক্তি আদালতের এখতেয়ারভুক্ত এব্যাপারে তাঁর করণীয় কিছুই নেই। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সবচেয়ে বড়শরীক দল বিএনপি। পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের সঙ্গে সাবেক রাষ্ট্রপতি বি চৌধুরীর যুক্তফ্রন্টের মধ্যে সমঝোতার এ্যালায়েন্স সৃষ্টি হয়। অথচ বি চৌধুরী ছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ব্যক্তি এবং রাষ্ট্রপতি। বর্ষীয়ান নেতা মিজানুর রমহান চৌধুরী বলতেন রাজনীতিতে শেষ কথা বলতে কিছুই নেই। শেষ পর্যন্ত বিএনপি তাদের ম্যাডামকে শ্রীঘরে রেখে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। না করে উপায় তো নেই। নির্বাচনে খেলার মাঠটা লেভেল প্লেয়িংফিল্ড হউক আর না হউক খেলতে মাঠে নামতেই হবে। একটার্ম ওয়াবাভার দেওয়ার বিধান আছে কিন্তু দুই টার্ম যদি ওয়াবাভার দেওয়া হয় তবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রাজনৈতিক নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে। মঈন ইউ এবং ফখরুলের সেমী সামরিক সরকার ওয়ান ইলেভ্যান এর মাইনাস টু নিয়মনীতি চালুর এক পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু অদৃষ্টের লিখন মাইনাস ওয়ান বিধি কার্যকর হয়ে বেগম জিয়ার উইকেট পতন হলে তিনি নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষিত হয়ে পড়েন। তিনি ছাড়া বিএনপির হাল ধরার কেউ নেই। এবারের নির্বাচনে যেন তাই প্রমাণিত হয়েছে। ড. কামাল সাহেবকে হাইয়ার করে খেলতে মাঠে নামানো হলেও তিনি এ বৃদ্ধ বয়সে প্রতিপক্ষের জালে বল ঢুকাবার মতো ধম তার নেই। শরীর ভারি হয়ে গেছে লাঠিতে ভর করে হাঁটতে হয়। কখনও মান্নার হাতে কখনও রব ভাইয়ের হাতে ভর করে উঠেন। এ সময় কামাল দাদার সেবা শুশ্বষার প্রয়োজন। তিনি কেন খামোখা বৃদ্ধ বয়সে ক্ষীণ কণ্ঠের গর্জন দিয়ে খামোশ বল্লেন। তড়িঘড়ি করে সাংবাদিকদের কাছে মনোকষ্টের ব্যাপারে ক্ষমা না চাইলে মঈন ফখরুর মন্ত্রিসভার পাওয়ার ফুল মঈনুল হোসেন সাহেবের মতো যদি শ্রীঘরে যেতে হতো বৃদ্ধ বয়সে এরমত অপমান জনক বিষয় আর কি হতো ?
গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থায় নির্বাচন হচ্ছে প্রধানতম বিষয়। আমাদের দেশে পাঁচ বছর অন্তর অন্তর জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ পছন্দমত প্রতিনিধি নির্বাচিত করে। যে দল থেকে সংখ্যা গরিষ্ঠসাংসদ নির্বাচিত হয় সেই দল সরকার গঠন করে এবং ৫ বছর মেয়াদকাল পর্যন্ত দেশ পরিচালনার সুযোগ প্রাপ্ত হয়, এটাই সাংবিধানিক ফয়সালা। ভোট হচ্ছে অত্যন্ত পবিত্র আমানত। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সে আমানত সংরক্ষণ রাখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ভেটটের মাধ্যমে জনগণের মতামত ও ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে। অর্থের বিনিময়ে বা অনুচিত প্রভাবের কারণে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভোট কোন পণ্য নয়, যা বেচাবিক্রির সুযোগ নেই। ভোট বিবেকের মনস্তাত্বিক দর্পণ। এ মনস্তাত্বিক দর্পণের মাধ্যমে দৃশ্যমান হবে প্রার্থীর যোগ্যতা ও রাষ্ট্রের প্রতি প্রার্থী কতটুকু দায়িত্ব পালন করেছে তারই একটা রেজাল্টশিট। গত ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ অনেক প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার ৩০/১২/২০১৮ প্রত্যাশিত এ দিনে দেশের ১০ কোটি ৫০ লক্ষ ভোটার যে দলের পক্ষে তাদের ভোটাধিকার অধিক প্রয়োগ করবে সেই দলেই জয়ী হবে এটাই স্বাভাবিক। এবারে তরুণ-তরুণীর নতুন ভোটারের সংখ্যা ২ কোটি ৫০ লক্ষ এদেরকে ক্ষমতাসীন দল সুসংগঠিত করায় ক্ষমতাসীন দল যথেষ্ট শক্তি পেয়েছে। এটা আওয়ামী লীগের জন্য একটা প্লাস পয়েন্ট। বেগম জিয়া এবং তাঁর তনয় দলের ব্যাপারে কোন ভূমিকা রাখতে পারেননি। এবং আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্থ হওয়ায় নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেন। তাদের অভাবে দলীয় নেতৃত্বের জন্য এককালের বঙ্গবন্ধুর আস্থাভাজন ড. কামাল সাহেবকে বিকল্প নেতা হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। তাঁর যথেষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতা আছে, তিনি আবার বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতাও বটে। কিন্তু রাজনীতির ব্যাপারে তিনি দক্ষ খেলোয়াড় নয়। ভোটের যুদ্ধে তিনি অংশগ্রহণ করেননি। তা ভালোই করেছেন কারণ অতীত রেকর্ড ঘাটলে দেখা যায় তিনি প্রার্থী হয়ে ইলেকশানে ৬৩১৭ ভোট পেয়ে ধরাশায়ী হলে বঙ্গবন্ধু নিজের আসন ছেড়ে দিয়ে তাকে পাশ করিয়ে আনে। তিনি নির্বাচনের শেষ পর্যায়ে বলেছিলেন বিএনপিতে জামাত প্রার্থী দিয়েছে বলে জানলে তিনি বিএনপিকে অনেক পূর্বেই ডিভোর্স দিতেন। আসলে তাঁকে বিএনপি ভাগিয়ে এসেছিলেন ক্ষমতাসীন হলে তাঁকে প্রেসিডেন্ট পদে পুনর্বাসিত করবেন। এ টোপ গিলে তিনি বিএনপির মৃত সঞ্জীবনী ক্ষুধা হিসেবে বিএনপির প্রাণ সঞ্চার করতে গিয়েছিলেন। শেষমেষ আমও গেলো ছালাও গেলো। ভালো-মানুষ, তাঁকে আমি শ্রদ্ধা করি। এতো বছর যখন তিনি ফুলের মতো পবিত্র ছিলেন বাকী জীবনটা সুন্দরভাবে নির্ঝঞ্ঝাটে কাটিয়ে দিলে বোধ হয় ভালো করতেন। নির্বাচনে পর্যন্ত তাঁকে সম্মানি ব্যক্তি হিসেবে কেউ তাঁর সম্মান নিয়ে টানাহিঁচড়ে করেন। সত্যি তিনি আমাদের গর্বের। বিএনপির দুর্দিনের কান্ডারী ফখরুল সাহেব জোর গলায় বলেছিলেন বেগম জিয়ার অবর্তমানে ড. কামাল হোসেন আমাদের নেতা।
৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টির ওপর অনুষ্ঠিত ভোটযুদ্ধে ২৯৮টির রেজাল্ট দেখে হতবাক হলাম এতে এতে আওয়ামী লীগের ২৫৬, জাতীয় পার্টি ২২, ওয়ার্কার্স পার্টি ৩, জাসদ ৩, তরিকত ফেডারেশন ১, জাতীয় পার্টি (জেপি) ১. বিএনপি ৫
এবারের ভোটযুদ্ধে ভোটের সংঘাতে নিহত হয়েছে ১৫ জন। চট্টগ্রামে ৩ জন, রাজশাহীতে ২ জন, কুমিল্লায় ২ জন, কক্সবাজার বগুড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালী, রাঙামাটি, সিলেট, যশোর, গাজীপুরে; ১ জন করে নিহত হয়। সংঘাতযুদ্ধে নিহতের অধিকাংশ আওয়ামী লীগের। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের ৮ জন, বিএনপির ৭ জন, অর্থাৎ বিএনপির জয় হয়েছে বলা যায়। ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে কামাল ফখরুল সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন কামাল সাহেবের ভেইলী রোডের বাসায় ফখরুল সাহেব বলেন ‘This is not an election. This is a cruel mocaroi with election’ আমরা কি করবো তা কাল সিদ্ধান্ত নিয়ে জানারো।’গতবারের ভোটে আওয়ামী লীগকে ওয়াকাভার দিয়েছিলো। ১৫৪ জন প্রার্থী এবারের নির্বাচনে ৫১ জন প্রার্থী ভোটে অংশগ্রহণ করে ও বর্জনের মাধ্যমে ওয়াকাভার দিয়েছে। বিদ্রোহী প্রার্থীদের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ শক্ত অবস্থানে থাকার কারণে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস লক্ষনীয় ছিলো। বিএনপির মধ্যে শক্ত নেতৃত্বের অভাব বিপর্যয় ডেকে এনেছে বলে মনে হয়। তবে পরিস্থিতির বিচারে এবারেও বিরোধী দলের নেতৃত্বের আসনে বসবে জাতীয় পার্টি। এক্ষেত্রে তারা ভাগ্যবান বলা যায়। ক্রমাগত ৩ বার ভোটযুদ্ধে জিতে আওয়ামী লীগ হ্যাটট্রিকের গৌরবে গৌরান্বিত। নির্বাচনের পূর্বে মিছিল মিটিং বর্জন করে নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোটযুদ্ধে ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে জিতিয়ে আনার ব্যাপারে উলঙ্গ সমর্থন জ্ঞাপন করে বিরাটাকার সম্পাদকীয় লিখেছিলাম। লেখক হিসাবে সীমারেখা অতিক্রম করে আমার লেখার জন্য আমার পাঠক কুলের কেউ কেউ হয়ত: বা নাখোশ হতে পারেন। আমার বিবেকের বিচারে দৃশ্যমান হয়। বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন তার বক্তব্য ছিলো ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেবো তবুও এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাহআল্লাহ, আমরা মুক্তিলাভ করেছি, স্বাধীনতা পেয়েছি। তা আমাদের পরম পাওয়া। তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের সম্মানের আসনে নিয়ে এসেছেন। এবারের নির্বাচনে প্রতিপক্ষের কেউ তাওয়া তাক্তা বেলুন টাকিয়ে দেয়নি। আটা রুটি সাক্ষি আছে…বলে ইয়ারকীমূলক কুরুচিপূর্ণ স্লোগান কেউ দিতে পারেনি। জনৈক বিএনপি সমর্থক আত্মপরিচয় দিয়ে আমাকে বললো, আমি বিএনপির সমর্থক কোনদিন নৌকাতে ভোট দেইনি, তবে এবার আমি প্রথম নৌকাতে ভোট দেবো। সেদিন সে লোকের এ উক্তি আমার কাছে পরম পাওয়া বলে মনে হলো।
আমরা চট্টগ্রামের নয় আসনের লোকজন সর্বাধিক ভাগ্যবান বলবো। চট্টগ্রামের জনমানুষের নেতা চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর তনয় মহিবুল হাসান নওফেল আমাদের নয় আসনের এমপি। এবারের নির্বাচনে স্থানীয় নেতৃত্বে বিভাজনের দেয়াল ডিঙ্গিয়ে নওফেল সবাইকে নিয়ে ঐক্যের পরিবেশ সৃষ্টিতে সক্ষম হয়েছেন একথা নির্দ্বিধায় বলা যায়। তাঁর পিতা সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ১৭ বছর কাল একটানা সিটি কর্পোরেশনের হোল্ডিং ট্যাক্স না বাড়িয়ে অন্যান্য খাতে আয় বৃদ্ধি করে চট্টগ্রামের সিটি কর্পোরেশনের ব্যয়খাতকে পৃষ্ঠপোষকতা করে গেছেন। তিনি ছিলেন গণমানুষের নেতা। আমাদের নির্বাচিত এমপি নওফেল সাহেবের চেহারা আলাপে আলোচনায় অত্যন্ত ভদ্র এবং মিষ্টিভাষী, আমরা তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।
জননেত্রীকে আল্লাহ আবার ক্ষমতায় বসিয়েছে। এখন আপনি ১৮ কোটি জনগণের নির্বাচিত অভিভাবক। আপনার আচার আচরণে অভুতপূর্ব পরিপক্কতা এবং ব্যক্তিত্ব লক্ষনীয়। তবে একটা কথা না বললে নয়, আপনার বিরাট জনসমর্থনের পাশাপাশি নিকট শত্রুর সংখ্যাও কম নয়। গত দশবছরে এমন কোন ক্ষেত্র নেই যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। তবে আমি প্রত্যাশা করবো চাঁদাবাজি, মাস্তানি, দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আপনাকে অত্যন্ত কঠোর হতে হবে। তা না হলে অর্জিত সাফল্য রসাতলে যাবে। তরুণসমাজ এবারের নির্বাচনে যথেষ্ট অবদান রেখেছে। বর্তমানে উচ্চতর বিদ্যাশিক্ষা শেষ করে প্রায় ২৭ লক্ষ শিক্ষিত বেকার তাদের চাকুরী লাভের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করলে তারা বিশেষভাবে উপকৃত হবে। এবারের আচার আচরণে জনগণ সন্তুষ্ট। আন্তর্জাতিকভাবে জননেত্রী যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছেন। সে ধারা অব্যাহত থাকুক। ১৫ আগস্ট ’৭৫ এ আপনি সবাইকে হারিয়ে শক্ত হাতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাল ধরেছেন। মানুষে অবিশ্বাস্য সমর্থনে আপনি পরিপুষ্ট। আপনার জীবনও বেশ কয়েকবার হুমকির মুখোমুখি হলেও আল্লাহর মেহেরবানীতে বেঁচে গেছেন। আল্লাহ আপনার সহায় হউন। আপনার শোক পরিণত হউক অসীম শক্তিতে।

লেখক : কলামিস্ট