নির্বাচন অফিসের কর্মীসহ আটক ৩

37

রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাইয়ে দেওয়ার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের এক কর্মচারীসহ তিন জনকে আটক করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত ১১টার দিকে ওই তিন জনকে আটক করা হয়। চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুনির হোসাইন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটক তিন জন হলেন- ডবলমুরিং থানা নির্বাচন অফিসের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদিন (৩৫), পটিয়া উপজেলার মৃত হারাধন দাসের ছেলে বিজয় দাস (২৬) ও তার বোন সীমা দাস ওরফে সুমাইয়া (২৪)। সীমা চট্টগ্রাম সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আয়া।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুনির হোসাইন সাংবাদিকদের জানান, চট্টগ্রাম জেলা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কর্মকর্তা পল্লবী চাকমা তাদের তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। আটক তিন জন পরস্পর যোগসাজশে রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাইয়ে দিয়েছেন এমন অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে তিন জনকে আটকের পর নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাছানুজ্জামান। তিনি বলেন, গত তিন দিনে কক্সবাজার থেকে আটক হওয়া ছয় জনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার সন্ধ্যায় জয়নালকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করি। তার হেফাজতে নির্বাচন কমিশনের লাইসেন্স করা একটি ল্যাপটপ ছিল। ওই ল্যাপটপ সম্পর্কে জানতে চাইলে জয়নাল প্রথমে তথ্য দিতে রাজি হয়নি। পরে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর সে জানায়, ল্যাপটপটি তার বন্ধু বিজয় দাসের কাছে আছে। তার মাধ্যমে আমরা বিজয় দাসকে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে হাজির করি। এরপর বিজয় দাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে জানায়, ল্যাপটপটি তার বোন সুমাইয়ার কাছে আছে। তাদের মাধ্যমে সুমাইয়াকে ল্যাপটপটি অফিসে আনতে বলা হয়। সুমাইয়া এলে তাকেও আটক করা হয়।
মো. হাছানুজ্জামান বলেন, লাইসেন্স করা ল্যাপটপটি ব্যবহার করে তারা এনআইডি জালিয়াতি করেছে। ওয়েবক্যামের মাধ্যমে ছবি তুলে এই ল্যাপটপ দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় সব কাজ করা যায়। এই চক্রের সঙ্গে আরও কর্মচারী জড়িত থাকতে পারে। তদন্ত করে তাদেরকেও খুঁজে বের করা হবে।